ট্রেনের বিভিন্ন বগি ভ্রাম্যমাণ পতিতালয় হিসেবে ব্যবহার করছে আউটসোর্সিং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এসএ কর্পোরেশনের কর্মীরা। সম্প্রতি এক যৌনকর্মীর চাহিদা অনুযায়ী টাকা পরিশোধ না করায় ফাঁস হয়ে যায় এই তথ্য। সর্বত্র তোলপাড় শুরু হয়। কিন্তু রেলের তরফ থেকেই চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে নিষ্ক্রিয়তা শুরু হয়েছে। এতে হতবাক বিশ্লেষকরা। এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের বক্তব্য পাওয়া না গেলেও ঠিকাদারের পক্ষেই সাফাই গাইলেন রেলওয়ে পুর্বাঞ্চলের জিএম নাজমুল ইসলাম।
গেল ২৬ জুন সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেসের একটি কেবিনের চিত্র এটি। ট্রেনটির ক্যাটারিং সার্ভিস বা খাবার সরবরাহে নিয়জিত প্রতিষ্ঠান এসএ কর্পোরেশনের ৪ কর্মী এক নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কেরত। শুরুতে বিষয়টি ধর্ষণ বলে প্রচার করা হলেও পরে তদন্তে আসল রহস্য উদঘাটন হয়। অভিযোগ রয়েছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এসএ কর্পোরেশনের কর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে ট্রেনের বিভিন্ন কামরা ভ্রাম্যমাণ পতিতালয় হিসেবে ব্যবহার করে আসছে।
রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের প্রায় সব ট্রেনই এসএ কর্পোরেশনের অধীনে রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন রুটের ৬টি ট্রেনে ক্যাটারিং পরিষেবা, অন-বোর্ড অর্থাৎ যাত্রী উপস্থিতি এবং বিভিন্ন আউটসোর্সিং পরিষেবা।
চাঞ্চল্যকর ঘটনার পর পাবলিক ক্যাটারিং সার্ভিস স্থগিত করা হলেও বিতর্কিত এসএ কর্পোরেশনের কর্মীরা অন্যান্য পরিষেবার নামে সব ট্রেনেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন যাত্রীরা।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে,প্রতিটি ট্রেনে ক্যাটারিং সার্ভিস পরিচালনার জন্য ১০ শতাংশ হারে বৃদ্ধির শর্তে প্রতি বছর ৩ লাখ ৩২ হাজার ৪২৯ টাকা রেলওয়েকে পরিশোধ করবে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। জিএফএক্স-২ আর অনবোর্ড সার্ভিসের জন্য ১৬ বগির একটি ট্রেনের ক্ষেত্রে প্রতিমাসে ৭ লাখ টাকা বিল পাবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। জিএফএক্স-৩
২০২০ সাল থেকে, SA কর্পোরেশন অনবোর্ড বিল তুলে নিচ্ছে যদিও ক্যাটারিংয়ের টাকা পরিশোধ করা হয়নি। একের পর এক চিঠি দিয়ে ঋণ পরিশোধ করছে রেল। এতে হতবাক বিশ্লেষকরা।
এসএ কর্পোরেশনের কর্পোরেট অফিসে বারবার ধর্না দিয়েও এ বিষয়ে কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এমনকি প্রতিষ্ঠানের মালিক ফোনও রিসিভ করেননি।
তবে শাহ আলমের পক্ষে অবস্থান স্পষ্ট করেছেন রেলওয়ে পূর্বের জিএম। সেটাফ অনবোর্ডের চুক্তিতে প্রতিটি বগিতে একজন করে এটেনডেন্স, চলন্ত ট্রেনের তথ্য যাত্রীদের জানাতে এনাউন্সম্যান রাখাসহ টয়লেট্রিজ সরবরাহ ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের। কিন্তু এসব সেবা শুধু কাগজ কলমেই সীমাবদ্ধ।