ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২৭ দিন পর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান ড. ইউনূসকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। কিন্তু এত দেরিতে শুভেচ্ছা জানানোর কারণ কী? রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি শুধুই সৌজন্য নাকি এর পেছনে রয়েছে পলাতক শেখ হাসিনার প্রসঙ্গ ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফোনালাপের প্রভাব?
ভারতীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ২৭ জানুয়ারি মোদি ও সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মধ্যে ফোনালাপ হয়েছে। আলোচনায় অর্থনৈতিক সহযোগিতা, অবৈধ ভারতীয়দের ফেরত পাঠানো এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিয়ে কথা হয়। তবে এ অঞ্চলের মধ্যে বাংলাদেশের প্রসঙ্গও উঠে এসেছে, যা কৌতূহলের জন্ম দিয়েছে।
এর আগে ২৩ জানুয়ারি রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের টানাপোড়েন তাকে দুঃখিত করে। তার মতে, দুই দেশের সম্পর্ক সব সময় শক্তিশালী হওয়া উচিত।
একদিকে ট্রাম্পের ফোন, অন্যদিকে ইউনূসের আহ্বান—তারপরই মোদির শুভেচ্ছাবার্তা। এটি কি নিছক কাকতালীয়, নাকি নতুন কূটনৈতিক কৌশলের ইঙ্গিত? বিশ্লেষকদের মতে, মোদি এখন বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক পুনর্গঠনের একটি নতুন দিক খুঁজছেন।
এই পরিস্থিতি শেখ হাসিনার ভবিষ্যৎ অবস্থান, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের মোড় এবং ট্রাম্প প্রশাসনের ভূমিকাকে আরও স্পষ্ট করে তুলতে পারে। এখন দেখার বিষয়, এই বার্তার প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ কী পদক্ষেপ নেয়।