বর্তমান সময়ে গোটা বিশ্বের মধ্যে অর্থনৈতিক এবং প্রযুক্তিগত ভাবে সমৃদ্ধশালী দেশগুলোর একটি রাশিয়া। দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ভ্লাদিমির পুতিন। তবে তিনি খুবই সাধারন পর্যায় থেকে এই সফলতার শীর্ষে উঠে এসেছেন। সম্প্রতি তার সফলতার পিছনের বেহস কিছু গল্প উঠে এসেছে প্রকশ্যে। অবশ্যে এই বিষয়ে তিনি নিজেই জানিয়েছেন বিস্তারিত।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর নিজের খরচ মেটাতে তিনি ট্যাক্সি ড্রাইভার হিসেবেও কাজ করেছেন। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের ফলে তৈরি অর্থনৈতিক মন্দার কারণে রাশিয়ার অনেক বাসিন্দা অর্থ আয়ের জন্য নানা ধরনের কাজ শুরু করেছিলেন। এক প্রতিবেদনে জানা যায়, ওই পতনের মাধ্যমে ঐতিহাসিক রাশিয়ার পতন হয়েছিল বলে বর্ণনা করেছেন পুতিন। সাবেক সোভিয়েত রিপাবলিক ইউক্রেন ঘিরে তার বিশেষ উদ্দেশ্য রয়েছে বলে যে গুজব রয়েছে, তার এই মন্তব্য সেটি আরও উস্কে দিয়েছে। ইউক্রেন সীমান্তে ৯০ হাজারের বেশি সৈন্য সমাবেশ করেছে রাশিয়া। আশঙ্কা করা হচ্ছে যে, দেশটি ইউক্রেনে অভিযান চালাতে পারে। তবে রাশিয়া সেটি নাকচ করে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে উস্কানি দেয়ার অভিযোগ করেছে। সেই সাথে পূর্বাঞ্চলে যাতে ন্যাটোর বিস্তার না ঘটে, তার নিশ্চয়তা দাবি করেছে। রাশিয়া, সর্বশেষ ইতিহাস নামে রোববার (১২ ডিসেম্বর) প্রচারিত একটি তথ্যচিত্রে পুতিন ওই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে যাওয়ার মাধ্যমে আসলে ঐতিহাসিক রাশিয়া বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সেই সাথে পশ্চিমা দেশগুলোয় অনেকের বিশ্বাস ছিল যে, কম সময়ের মধ্যেই রাশিয়া আরও টুকরো টুকরো হয়ে যাবে। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের বিষয়টি পুতিনের জন্য যে দুঃখজনক ছিল, এই তথ্য আগেই জানা গিয়েছিল। কিন্তু সেই সময় তিনি ব্যক্তিগতভাবে কী ধরনের সমস্যায় পড়েছিলেন, সেই তথ্য একেবারে নতুন। অনেক সময় আমাকে বাড়তি অর্থ রোজগার করতে হতো। তখন ব্যক্তিগত গাড়ির চালক হিসাবে আমি বাড়তি কিছু অর্থ আয় করতাম। সত্যি কথা বলতে, এ বিষয়ে কথা বলাটা অস্বস্তিকর, কিন্তু এটাই ছিল ঘটনা, বলছেন পুতিন। সেই সময় রাশিয়ায় ট্যাক্সি সেবা তেমন ছিল না। তখন অনেক ব্যক্তিগত গাড়ির মালিক বাড়তি অর্থ আয় করার জন্য যাত্রীদের পরিবহন সেবা দিতেন। অনেকে এমনকি অ্যাম্বুলেন্সের মতো যানবাহনও ট্যাক্সি হিসাবে ব্যবহার করতেন।
দীর্ঘ সময় ধরে রাশিয়ার নেতৃত্বে রয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন। এবং তিনি রয়েছেন জনপ্রিয়তার শীর্ষে। অবশ্যে গোটা বিশ্বে ভ্লাদিমির পুতিনের মত এমন আরও অনেক প্রেসিডেন্ট রয়েছে যারা কিনা খুবই সাধারন পর্যায় থেকে সফলতার শীর্ষ স্থান দখল করতে সক্ষম হয়েছে। এরই সূত্র ধরে প্রায় সময় বিভিন্ন মাধ্যমে উঠে আসে সফলতার পিছনের নানা গল্প।