রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে টকশো বা বিতর্ক টিভি চ্যানেলগুলোর অন্যতম জনপ্রিয় অনুষ্ঠান। উপস্থাপকের প্রাণবন্ত আচরণে এটি আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। তবে কখনো কখনো তা যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়। পাকিস্তানের একটি টিভি লাইভ শোতেও তাই দেখানো হয়েছে। টিভি ক্যামেরার সামনে হাতাহাতি হয় দুই পক্ষের আইনজীবীরা। সেই সাথে চলে অশ্লীল গালিগালাজ। খবর হিন্দুস্তান টাইমস।
আগামী বছরের জানুয়ারিতে পাকিস্তানের সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। নেতাকর্মীদের আচরণেও তা পরিলক্ষিত হয়। কখনও কখনও তারা শালীনতা এবং সৌজন্যের সীমানা ভেঙে দেয়। পাকিস্তানের অন্যতম জনপ্রিয় টিভি উপস্থাপক জাভেদ চৌধুরীর এক্সপ্রেস নিউজ টক শো এমনই এক কুৎসিত ঘটনার সাক্ষী।
টক শোতে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) সিনেটর আফনান উল্লাহ খান এবং পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নেতা ও আইনজীবী শের আফজাল খান মারওয়াত উপস্থিত ছিলেন। কথা বলতে বলতে দুজনেই একে অপরের প্রতি আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়।
‘কাল তক’ নামের টকশোটি স্বাভাবিকভাবেই শুরু হয়েছিল। কিছুক্ষণ পর পিএমএল-এন সিনেটর আফনান উল্লাহ খান পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনৈতিক কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ইমরান খান ক্ষমতার জন্য পেছনের দরজা দিয়ে সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। এ কথা শুনে রেগে যান পিটিআইয়ের শের আফজাল খান মারওয়াত। তিনি আসন থেকে উঠে আফনান উল্লাহর মাথায় আঘাত করেন।
আফনান উল্লাহও সংযমের ধার ধারেননি। তিনি পাল্টা হামলা চালান। মারওয়াতকে মারধরের পর মাটিতে ফেলে দেন তিনি। তারা দুজনেই ক্যামেরার ফ্রেম থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর কী ঘটেছিল তা ভিডিওতে দেখানো হয়নি। এ অবস্থায় তাদের ঝগড়া থামাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন উপস্থাপক জাবেদ চৌধুরী ও তার কলাকুশলীরা।
দুজনেই আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন নিজেদের ন্যায্যতা দিতে। তবে তাদের লড়াই ভাইরাল হয়েছে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এ নিয়ে অনেকে যেমন উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, তেমনি মজারও মনে করেছেন অনেকে। তারা মন্তব্য করেন, জনগণের ক্ষতি না করে এভাবেই নিজেদের বিরোধ মেটাতে পারেন।