বিরোধী দল বিএনপি দীর্ঘ দিন ধরেই ক্ষমতার বাহিরে থেকে আন্দোলন কর্মসূচী চালিয়ে যাচ্ছে। তবে তাদের আন্দোলনে জন সম্পৃক্তা নেই বলে দাবি করছে আওয়ামীলীগের। বিএনপি বর্তমানে জন বিচ্ছিন্ন দলে পরিণত হয়েছে তাদের আন্দোলনে জনগন সাড়া দিচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের আন্দোলনে আওয়ামীলীগ বাধা দেয় বলে তারা অভিযোগ করে আসছে কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তাদের এবার বাধা দিতে নিষেধ করেছেন সেটির ভিতর তারা রসহ্য দেখছেন। লন্ডন থেকে স্লোগান দেয় আর প্রতিধ্বনি হয় পল্টনে বলে মন্তব্য করে যা বললেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সভা সমাবেশ করা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উদারতার অর্থ বিএনপি নেতারা বোঝেন না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আমাদের নেত্রী বলেছেন তারা সমাবেশ করুক, জনসভা করুক। বাধা দেবো না। নেত্রীর এই উদারতার অর্থ আমরা বুঝি। তারা বোঝে না।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন দলের সিনিয়র নেতারা।
বিদেশিদের চাপে সরকার বিএনপিকে সভা-সমাবেশ করতে দিয়েছে এমন অভিযোগের জবাবে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, তারা (বিএনপি) বলছে, বিদেশিদের চাপে আপনারা এটা করছেন। তারা এটা বোঝে না। লন্ডন থেকে স্লোগান দেয়, আর প্রতিধ্বনি হয় পল্টনে। কী স্লোগান? টেক ব্যাক বাংলাদেশ। টেক ব্যাক করে কোথায় যাবে? লুটপাটের হাওয়া ভবনের বাংলাদেশে? পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের বাংলাদেশে? মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ বিসর্জনের বাংলাদেশে?
কাদের বলেন, সংকটের পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্থিতিশীলতা বজায় রেখেছে। এখনও দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এখনো হাজার হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স আসছে। আমাদের এখনও ৪০ থেকে ৪২ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ রয়েছে। শ্রীলঙ্কার রিজার্ভ ফুরিয়ে গেছে। পাকিস্তানের রিজার্ভ তলানিতে। এ কারণে বাংলাদেশকে নিয়ে তারা দুঃস্বপ্ন দেখে।
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মানুষের কানকথা শুনে, গুজব শুনে কেউ বিভ্রান্ত হবেন না। বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হবে না, পাকিস্তানও হবে না। এটা বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ। এটা বীরদের দেশ। শেখ হাসিনার বাংলাদেশ। সবাই শুধু ঐক্যবদ্ধ থাকুন। দলকে সুশৃঙ্খল রাখুন। নেত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী এগিয়ে যেতে পারলে আগামী নির্বাচনে আবারও বিজয়ের বন্দরে পৌঁছাতে পারব।
আওয়ামী লীগে ভালো মানুষের অভাব নেই। শুধু ঐক্য বজায় রাখুন। ঐক্য থাকলে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হবে।
বঙ্গবন্ধু হ/ত্যাকাণ্ডে জড়িতদের চিহ্নিত করার বিষয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, অনেক ঘটনাই অজানা রয়ে গেছে। অনেকের ভূমিকা অজানা। এসব তথ্য উন্মোচন করা দরকার।
আইনমন্ত্রী বলেছেন কমিশন গঠন করবেন। শুধু মুখে নয়, আমি বলবো বাস্তবে এর কার্যকারিতা বাংলার মানুষ দেখতে চায়। এ নৃশংস হত্যাকাণ্ডের রহস্যময় আরও পুরুষ আছে। যাদের জাতি চেনে না, কিন্তু মুখচেনা। সত্য আমাদের জানতে হবে।
প্রসঙ্গত, আন্দোলনের মাধ্যমে বিএনপি সরকারকে হটাতে চায় কিন্তু আন্দোলনকে আওয়ামীলীগ ভয় পান না বলে মন্তব্য করেন আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক। তিনি বলেন, দলের ঐক্যে বজায় রাখুন আওয়ামীলীগ আবার ক্ষমতায় আসবে।