যে জিতবে সেই সিকান্দার- এই ধরনের সমীকরণ নিয়ে আইসিসি বিশ্বকাপের মাঠে পরাজয় বরণ করে নিলেন সাকিব আল হাসান। এদিকে সিকান্দার হিসেবে নাম এলো বাবর আজমের। গত রবিবার সকালে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকাকে নাস্তানাবুদ করে জয়ের হাসি হাসলো নেদারল্যান্ডস। কারণ এই জয় পাওয়ার মাধ্যমে কমলা দলটি সরাসরি পরবর্তী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে।
ডাচদের সঙ্গে হেসেছিল বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান। কিন্তু তাদের উপলক্ষ্য ছিল ভিন্ন। প্রোটিয়াদের কাছে হেরে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে ভারত, অন্যদিকে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সেমিতে যাওয়ার পথ পরিষ্কার হয়ে যায়।
আর সেই পথেই শেষ চারের সিঁড়িতে পৌঁছে গেল পাকিস্তান। বাবর আজমের বিপক্ষে ৫ উইকেটে হেরেছে টাইগাররা।
তবে এ পরাজয়ের পরও পরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার সম্ভাবনা জেগেই রইল বাংলাদেশের। তিন পরাজয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষ করেছে বাংলাদেশ। এতে র্যাঙ্কিংয়ে ৯ নম্বরে থাকা বাংলাদেশের সরাসরি ২০২৪ বিশ্বকাপে খেলা প্রায় নিশ্চিত।
বাংলাদেশের সাথে আফগানিস্তানও দশম দল হিসেবে যোগ্যতা অর্জন করেছে। রবিবার, ক্রিকইনফো তাদের ফেস”বুক পেজে ২০১৪ বিশ্বকাপের জন্য সরাসরি যোগ্যতা অর্জনকারী দলের নাম প্রকাশ করেছে।
এতে শীর্ষ আট দল সরাসরি যোগ্যতা অর্জন করেছে – নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং নেদারল্যান্ডস। এরপর নবম ও দশম দল হিসেবে রয়েছে যথাক্রমে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের নাম।
২০২৪ সালের বিশ্বকাপ ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হবে। সেই হিসেবে এই দুটি দলসহ মোট ১২টি দল ঘোষণা করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ২০টি দল থাকবে। স্বাগতিক দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সরাসরি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করবে।
তবে বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হবে। ১৪ নভেম্বরের মধ্যে সেরা দশে থাকলে বাংলাদেশ দলকে বাছাইপর্ব খেলতে হবে না। তবে র্যাঙ্কিংয়ে নবম অবস্থান থেকে বিশ্বকাপ মিশন শেষ করেছে সাকিব বাহিনী। ১৪ নভেম্বরের আগে নিচের দলগুলো না খেলায় বাংলাদেশের সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ বেশি। চলতি বছরের ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত র্যাঙ্কিংয়ের দশ নম্বরে থাকা দুই দল সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পাবে। সে হিসেবে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের সরাসরি খেলার সুযোগ আছে- সেটা নিশ্চিত।
উল্লেখ্য, এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের টাইগাররা দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন, সেই সাথে প্রশংসাও অর্জন করেছেন। এদিকে বাংলাদেশ ওপর আম্পায়ারদের অবিচার ক্রিকেটপ্রেমীদের নজর এড়াইনি। তাই বিদেশি বাঘা বাঘা সাবেক ক্রিকেটাররা বাংলাদেশের প্রশংসা করেছেন এবং আম্পায়ারদের ভুলের সমালোচনা করেছেন।