টিপকান্ডের আলোচিত সেই ঘটনায় চাকরি হারিয়েছিলেন অভিযোগ তোলা পুলিশ সদস্য মো. নাজমুল তারেক। এবার তিনি চাকরি ফিরে পাওয়ার জন্য তিনি সেই নারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন। সেই সঙ্গে তিনি ঐ ঘটনার যিনি তদন্ত করেন সেই কর্মকর্তাসহ অভিযোগকারী লতা সমাদ্দারের বিচার দাবি করেন। তবে তিনি জানিয়েছেন তার বিরুদ্ধে অবিচার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে স্ত্রী, নবজাতক শি”শু ও মাকে নিয়ে তিনি এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
এ সময় মোঃ নাজমুল তারেক বলেন, আমি উল্টো দিকে সাইকেল চালিয়েছি, এটা আমার অপরা”ধ স্বীকার করছি। তবে ‘টিপ পরেছ কেন’ আমি এ ধরনের কোনো কথা লতা সমাদ্দারকে বলিনি। ঘটনাটি ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করানোর জন্য তিনি এই অভিযোগ তোলেন। লতা সমাদ্দারের বিচার দাবি করছি।
এছাড়া ভিডিও ফুটেজ দেখে তদন্ত কর্মকর্তা অতিরিক্ত এসপি রহিমা আক্তার লাকী যে প্রতিবেদন দিয়েছেন তা সত্য নয়। যদি সত্য হয় তাহলে এই ভিডিওটি প্রচারের দাবি জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আমার পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম আমিই। গত ১১ আগস্ট আমাকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করা হয়। এতদিন সরকারি কর্মকর্তা হয়েও রাস্তায় দাঁড়াইনি। এখন আমি একজন সাধারণ নাগরিক তাই এখন দাঁড়িয়েছি। আমি আমার চাকরি হারিয়েছি এবং আমার ২ সন্তান স্ত্রী ও পরিবার নিয়ে অমানবিক জীবনযাপন করছি। অবিলম্বে চাকরি ফিরে পেতে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা কামনা করছি।
পুলিশ সদস্যের উল্টো দিকে বাইক চালিয়ে যাওয়ার সময় তেজগাঁও কলেজের থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক লতা সমাদ্দারের সঙ্গে পুলিশ সদস্য নাজমুল তারেকের কথা কাটাকাটি হয়। ওই শিক্ষিকা অভিযোগ করেন যে ২ এপ্রিল কলেজের কাছে তাকে হয়রানি করা হয়েছিল। তিনি শেরেবাংলা নগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন, যেখানে বলা হয়েছে যে পুলিশের ইউনিফর্ম পরা এক ব্যক্তি তাকে ‘টিপ পরছোস কেন’ বলে গালিগালাজ করে।
প্রকৃত যে ঘটনা সেটা যাচাই বাছাই না করে আমার প্রতি অবিচার এবং অন্যায় করা হয়েছে বলে জানান ঐ পুলিশ সদস্য। এদিকে ঘটনার পর সেই সময় প্রতিবাদ জানান বিভিন্ন স্তরের মানুষ। তারা জানিয়েছিলেন যে, টিপ পরা কোনো অপরাধ হতে পারে না এই সমাজে। এই ঘটনায় তারা ঐ পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন।