৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতি ও অনিয়মের তথ্য উদঘাটন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালকের পদ পেতে রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপব্যবহার এবং নিয়মবহির্ভূত কার্যকলাপের অভিযোগ তদন্তে উঠে এসেছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য।
দুদকের তথ্যানুযায়ী, পুতুলকে অযৌক্তিক কারণে রাষ্ট্রীয় সফরে সঙ্গে রাখা হয়েছে এবং তার প্রার্থিতার যোগ্যতা সংক্রান্ত তথ্যগুলো যথাযথ ছিল না। আরও জানা গেছে, তিনি কানাডার পাসপোর্টধারী নাগরিক ছিলেন।
দুদক আরও উল্লেখ করেছে, সায়মা ওয়াজেদ পারিবারিক রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করে ঢাকার ‘পূর্বাচল নতুন শহর আবাসিক প্রকল্প’-এর ডিপ্লোমেটিক জোন থেকে বেআইনিভাবে ১০ কাঠা জমি দখলে নিয়েছেন। এই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে একটি দুর্নীতির মামলা ইতোমধ্যে দায়ের করা হয়েছে।
এছাড়াও, তিনি ‘সূচনা ফাউন্ডেশন’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান খুলে বিভিন্ন ব্যবসায়িক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান থেকে উপঢৌকন আদায় এবং অর্থ আত্মসাত করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ অটিস্টিক সেলকে ব্যবহার করে ভুয়া প্রকল্পের মাধ্যমে বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করেছেন তিনি।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ওপর অবৈধ প্রভাব বিস্তার করে ফাউন্ডেশনের নামে প্রাপ্ত অর্থ করমুক্ত করিয়ে রাষ্ট্রের বড় আর্থিক ক্ষতি করেছেন বলেও জানিয়েছে দুদক।
দুদক তাদের বিবৃতিতে বলেছে, “সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগগুলো অত্যন্ত গুরুতর এবং বিশ্বাসযোগ্য। এসব অভিযোগের তদন্তে আরও পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”