বর্তমানে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা বেশ খারাপের দিকে রয়েছে। আর এই কারনে সারা দেশে এই ব্যাংক নিয়ে চলছে নানা ধরনের আলোচনা আর গুজব। বিশেষ করে ব্যাংকগুলোতে টাকা নেই এই কথাটি সারা দেশে ছড়িয়েছে ব্যাপক হরে। এ নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন দেশের অর্থমন্ত্রী। ব্যাংকের সার্বিক অবস্থা নিয়ে সাংবাদিকদের কাছে লিখিত চেয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে হাউজিং লোন ম্যানেজমেন্ট মডিউলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় দেশের সার্বিক ব্যাংকিং ব্যবস্থা নিয়ে তার মন্তব্য জানতে চান সাংবাদিকরা।
জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যাংকের খারাপ অবস্থা কোথায়, লিখে দিন, আমরা খতিয়ে দেখব।
হাউজিং লোন ম্যানেজমেন্ট মডিউলের উদ্বোধনকালে অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকারের সর্বজনীন পেনশন প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।
মোস্তফা কামাল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সরকারি কর্মচারীদের আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই সরকারি কর্মচারীদের জন্য ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে গৃহনির্মাণ ঋণ প্রদানের নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়।
তিনি বলেন, বর্তমানে সরকারি কর্মচারী, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক/কর্মচারী এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং প্রধান বিচারপতি ও সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের জন্য গৃহনির্মাণ ঋণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, গৃহনির্মাণ ঋণের বর্তমান ব্যবস্থায় দেখা যায়, বেশিরভাগ সময় একজন আবেদনকারীর আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে অনেক সময় লাগে। আবেদনকারীর আবেদনের অবস্থা বা কোন পর্যায়ে তা জানার কোনো সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, ঋণ আবেদন প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজড হলে এ ধরনের সমস্যা দূর হবে বলে আশা করা যায়। একই সাথে আবেদনকারী সরাসরি অর্থ বিভাগে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। এবং খুব অল্প সময়ের মধ্যে ব্যাংক ও মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে অর্থ বিভাগ থেকে সুদের ভর্তুকি অনুমোদনের আদেশ জারি করা সম্ভব হবে।
অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব ফাতিমা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সেলিম উল্লাহ, হিসাবরক্ষক মহাপরিচালক মো. নুরুল ইসলাম ও অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুরশেদুল কবির।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে গেলো কয়েক মাস ধরেই চলছে ব্যাপক অর্থনৈতিক সংকট। সেই সাথে কমে আসছে দেশের রিজার্ভ। এ ছাড়াও সব থেকে চিন্তার বিষয় যেটি সেটি হলো বাংলাদেশে প্রবাসীদের রেমিটেন্স পাঠানোর হারও কমে যাচ্ছে।