বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হতে চলেছে। ১৯ এপ্রিল শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কমিটির বর্তমান সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না।
শনিবার শিল্পী সমিতির বার্ষিক বনভোজনে তিনি বলেন, অনেক দুঃখ নিয়ে শিল্পী সমিতি থেকে বিদায় নিচ্ছেন তিনি।
বর্তমান কমিটির সাফল্য নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। কাঞ্চন-নিপুনের এই কমিটি শুরু থেকেই ছিল সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দু। এই কমিটি কোনো সভায় নির্বাচিত ২১ জনকে একত্র করতে পারেনি। সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, কমিটির নির্বাচিত সদস্যদের অসহযোগিতার কারণে এমনটি হয়েছে। এই আক্ষেপ নিয়েই চলে যাচ্ছেন তিনি।
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, “নির্বাচনের পর থেকেই সমিতির একটি পদ নিয়ে সবাই মামলা-মোকদ্দমা করে আসছেন। কিন্তু শিল্পী সমিতি আর শিল্পীর স্বার্থ আলাদা জিনিস। এটা কেউ বুঝতে চায়নি। শিল্পীদের স্বার্থ ভুলে যান কিভাবে আপানারা? যেখানে ইলিয়াস কাঞ্চন সভাপতি, আপনারা কাঞ্চনের পাশে দাঁড়াবেন না। এই দুঃখ নিয়ে আমি সমিতি থেকে বিদায় নিচ্ছি। আজ যদি আপনারা আমাকে অসম্মান করেন তবে সেই অসম্মান আমার একার নয়। সেই অসম্মান সমগ্র শিল্পসমাজ, চলচ্চিত্র শিল্পের। এটা মনে রাখবেন না, আমরা কেউ আমাদের সম্মানের জায়গা ধরে রাখতে পারব না।’
আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করলেও সব সময় সমিতি ও শিল্পীদের পাশে থাকবেন বলে জানান এই অভিনেতা। তিনি বলেন, ‘এই শিল্পী সমিতি আমাদের সমিতি। একজন শিল্পী হিসেবে আজ আমি যা কিছু অর্জন করেছি, তা এই শিল্প থেকেই পেয়েছি। সুখে-দুঃখে যখন আপনাদের যখন প্রয়োজন হবে আমাকে পাবেন।
যোগ্য লোক নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, কারো কথা ও অর্থের দ্বারা প্রভাবিত হবেন না। টাকার লোভে পড়ে দুই বছরের জন্য সর্বনাশ করবেন না। আপনার বিবেককে প্রশ্ন করুন, আপনারা যাকে ভোট দেবেন সে কি আপনার ও ৃইন্ডাস্ট্রির জন্য কাজ করবে? শিল্পী সমিতি এবং যারা শিল্পীদের স্বার্থ সম্পূর্ণরূপে রক্ষা করবে তাদের বিবেচনা করা হবে।