বাংলা রূপালী জগতের অন্যতম কিংবদন্তি অভিনেতা ও সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুক। তবে ভক্তদের মাঝে ফারুক নামেই অধিক পরিচিতি পেয়েছন তিনি। শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে গেল প্রায় দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছন তিনি। তবে সুখবর হলো- এই মুহূর্তে অনেকটাই সুস্থ সবার প্রিয় এই অভিনেতা।
রোববার সকালে একটি সংবাদমাধ্যমে ফারুকের স্ত্রী জানান, হাসপাতালের বিল বকেয়া থাকায় দেশে ফিরতে বিলম্ব হচ্ছে এ নায়কের। এরপর দেশের গণমাধ্যমের শিরোনামে আসে ফারুক টাকার অভাবে দেশে ফিরতে পারছেন না। এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন ফারহানা পাঠান। তিনি বলেন, টাকার অভাবে ফারুক দেশে ফিরতে না পারার খবর সত্য নয়।
ফারহানা পাঠান বলেন, হাসপাতালের বিল দিতে পারছি না, এটা মোটেও ঠিক নয়। এমন কথা যেন না লেখা হয়। । ফারুক ডাঃ লাইয়ের অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তিনি এক মাস সিঙ্গাপুরের বাইরে ছিলেন। দুদিন আগে তিনি দেশে ফিরেছেন। তাই শেষ পর্যন্ত ডাঃ লাইয়ের পরামর্শ ছাড়া এখান থেকে ছাড়পত্র নেব না।
ফারুকের স্ত্রী আরও বলেন, “ফারুক দীর্ঘদিন ধরে এখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এই হাসপাতালে চিকিৎসার খরচ অনেক বেশি। এজন্য আমরা আমাদের সম্পত্তি বিক্রি করেছি। ফ্ল্যাট-জমি ছাড়াও ব্যাংকের টাকাও খরচ করেছি। ফারুকের চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী এক লক্ষ ডলার দিয়েছেন। আমরা তার প্রতি চির কৃতজ্ঞ। এখন আমরা পারিবারিকভাবে হাসপাতালের সব বিল পরিশোধ করছি। বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুরে টাকা সংগ্রহ করতে কিছুটা সময় লাগে। তার মানে এই নয় যে আমরা বিল পরিশোধ করতে পারি না।
সবশেষে ফারুকের শারীরিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ডাক্তার বলেছেন ফারুক এখন পুরোপুরি সুস্থ। তাই আগামী ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি ফারুককে নিয়ে আমরা দেশে ফিরব, ইনশাআল্লাহ।
এর আগে তিনি আরও বলেন, ফারুক দেশে আসতে আগ্রহী। সংসদীয় এলাকায় অনেক কার্যক্রম রয়েছে। দেশে ফিরেই কাজ শেষ করবেন বলে জানান তিনি। আগামী মার্চের মাঝামাঝি দেশে আসার ইচ্ছা আছে। কিন্তু সবকিছু নির্ভর করে বিল পরিশোধের ওপর। কি ঘটে দেখতে দাও.’
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে ‘জলছবি’ নামক একটি সিনেমায় অভিনয়ের মধ্যদিয়ে বড় পা রাখেন ফারুক। এরপর লাঠিয়াল, সুজন সখী, ও সারেং বৌ,সহ একাধিক ব্যবসায় সফল সিনেমায় অভিনয় করে কোটি ভক্তের মাঝে জায়গা করে তিনি।