বাংলাদেশের টাইগাররা ভারতের সাথে যে ম্যাচটি খেলেছেন, সেটা নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। সেইসাথে ম্যাচটিতে বাংলাদেশ দলের অসাধারন পারফরম্যান্সে প্রশংসা অর্জন করেছেন টাইগাররা। শুধু দেশের ক্রিকেট প্রেমিরা নয়, ভারতের ক্রিকেটারেরাও প্রশংসায় ভাসিয়েছেন। এদিকে মাত্র ৫ রানে হেরে সেমিফাইনালে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে গেছে, যেটা না মেনে নেয়ার যথাযথ কারণ রয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের।
বাংলাদেশি সমর্থকদের দাবি, কোহলি ফেক থ্রো করে বড় ধরনের প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন। টাইগারদের ৫ রান পেনাল্টি প্রাপ্য। কিন্তু বাংলাদেশ হেরেছে ৫ রানে। অন্যদিকে ভারতীয় সমর্থকদের দাবি, কোহলি কোনো ভুল করেননি।
ম্যাচ শেষে ভারতের সাবেক অধিনায়কের বিরুদ্ধে প্রতা’রণার অভিযোগ আনেন বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক-ব্যাটার নুরুল হাসান সোহান।
বুধবার বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের সপ্তম ওভারে লিটন দাস অক্ষর প্যাটেলের একটি ডেলিভারি ডিপ অফসাইডে ঠেলে দেন এবং রানে যান। কোহলি পয়েন্টে দাঁড়ালেন। ফিল্ডার আরশদীপ বাউন্ডারি থেকে ছুটে এসে তা ফেরত পাঠালে কোহলি বল তুলে নিক্ষেপ করার অভিনয় করেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভা’ইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যায় যে, কোহলি ফেক ফিল্ডিং করেছেন। কিন্তু মাঠের দুই আম্পায়ার মনে করেননি কোহলি কোনো অপরাধ করেছেন। তাই তাকে শাস্তি দেওয়া হয়নি।
কোহলি কি সত্যিই নির্দোষ? সে কি অন্যায় করেছে? ৫ রানে পেনাল্টি পাবে না বাংলাদেশ? এসব প্রশ্নের জবাবে আইসিসির নিয়ম কী বলে?
আইসিসি মনে করে এই ঘটনার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ফিল্ড আম্পায়ারের উপর নির্ভর করে। আইসিসির ৪১.৫ অনুচ্ছেদ অনুসারে, ব্যাটসম্যান যদি কোনওভাবে বাধা দেয় বা তার মন ভাঙার চেষ্টা করে তবে ঘটনার গুরুতরতা বোঝার পরে আম্পায়াররা প্রতিপক্ষ দলকে ৫ রানের জন্য জরিমানা করতে পারেন।
মাঠের আম্পায়ার যদি ফিল্ডারের অঙ্গভঙ্গি লক্ষ্য না করেন, তাহলে পেনাল্টি দেওয়া যাবে না।
দুই আম্পায়ার খেয়ালই করেননি কখন কোহলি বলটি ছোড়ার অভিনয় করেছেন। সেক্ষেত্রে ধরে নিতে হবে মাঠের ব্যাটসম্যানদের মানসিক সংযোগ নষ্ট হয়নি। এ ছাড়া মাঠে থাকা বাংলাদেশের দুই ব্যাটসম্যানই ওই মুহূর্তে অভিযোগ করেননি। তাই তাতে পাত্তা বা গুরুত্ব দেননি আম্পায়ার।
আর যার কারণে এটা একটা সুযোগ হয়ে গেছে কোহলির জন্য। তবে ভারতের কয়েকজন সাবেক ক্রিকেটার ঘরের ফেক বল ছোড়ার বিষয়টিকে নেতিবাচক হিসেবেই দেখছেন। তারা তাদের মন্তব্যে জানিয়েছেন এটা ক্রিকেট আইনের লংঘন। যেটা কহলের কহলের করা উচিত হয়নি।