প্রতিদিনিই সড়ক দূর্ঘটনায় ঝরে যাচ্ছে অনেক প্রান। এই দূঘটনা এড়াতে সরকার নানা ধরনের পন্থা অবলম্ভন করলেও কোন ভাবেই তা নিয়ন্ত্রনে আসছে না। সম্প্রতি চট্টগ্রামে ঘরতে যাওয়া একদল প্রর্যাটকের গাড়ি ট্রেনের সাথে দূর্ঘটনা ঘটেছে। যে ঘটনা বর্তমানে গনমাধ্যমের প্রথম পাতয়।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে খৈয়াছড়া জলপ্রপাত দেখে ফেরার পথে ট্রেনের ধাক্কায় ১১ পর্যটক নিহত ও ৫ জন আহত হওয়ার ঘটনা তদন্তে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে পূর্ব রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
এ প্রসঙ্গে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ঘটনার সময় গেটবার দেওয়া হয়েছিল। মাইক্রোবাসের চালক গেটবার সরিয়ে লেন পার হওয়ার চেষ্টা করলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা তদন্তে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ইস্টার্ন রেলওয়ের ডিভিশনাল ট্রান্সপোর্ট অফিসার (ডিটিও) মোহাম্মদ আনসার আলীকে কমিশনার করা হয়েছে।
এদিকে দুর্ঘটনার পর থেকে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ গেটম্যান ও গেটবার নিয়ে নানা বক্তব্য দিলেও প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায় উঠছে নানা প্রশ্ন।
দুর্ঘটনার পর রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, মাইক্রোবাসটি গেটবার তুলে লেন পার হওয়ার সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। কিন্তু ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মহানগর প্রভাতী ট্রেনের যাত্রীদের মতে, গেটম্যান গেট বার কিছুই ছিল না। হালকা বৃষ্টি হচ্ছিল। ট্রেনটি কাছে আসার সাথে সাথে পূর্ব দিক থেকে একটি মাইক্রোবাস হঠাৎ ট্র্যাকে উঠে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা খান মোহাম্মদ মুস্তফা জুমার নামাজ পড়ার পর রেললাইনের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় তিনি দেখেন, রেললাইনে কোনো দারোয়ান বা গেটম্যান নেই। এ সময় দ্রুতগামী ট্রেনটি মাইক্রোবাসটিকে ধাক্কা দিয়ে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে নিয়ে যায়।
উল্লেখ্য, মানুষ যেন সড়কে দূর্ঘটনায় মৃ/ত্যুকে তাদের নিয়তি বলে মেনে নিয়েছে। হয়তো এমন একটা সময় আসবে যখন এই সড়ক দুর্ঘটনায় মৃ/ত্যুকে স্বাভাবিক মৃ/ত্যু হিসেবে গ্রহণ করবে। তবে এই পরিস্থিতি থেকে আমাদের জাতিকে বাঁচাতে হলে সচেতন নাগরিক ও আমাদের এই সমাজকে জেগে উঠতে হবে, প্রশাসনকে সজাগ থাকতে হবে, ট্রাফিক আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।