জায়েদ খান হলেন বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের একজন জনপ্রিয় মুখ এবং সেই সাথে তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি পরাপর কয়েকবার সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন। জায়েদ খান সততা ও নিষ্ঠার শিত করে যাচ্ছেন দায়িত্ব পালন। সম্প্রতি জানা গেল তিনি গেল সুপরিচিত নির্মাতা দেলোয়ার জাহান ঝন্টু জায়েদ খানকে আজীবনের জন্য বহিষ্কারের দাবি করেছেন।
জায়েদ খান ও ওমর সানির ঘটনা নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই চলছে তোলপাড়। গত কয়েকদিনের নানা আলোচনা-সমালোচনার প্রেক্ষাপটে এবার মুখ খুললেন সুপরিচিত নির্মাতা দেলোয়ার জাহান ঝন্টু।
এবার বিশিষ্ট পরিচালক দাবি করেন, ‘জায়েদ খান মৌসুমী ও ওমর সানির জন্য দেশের মানুষের কাছে চলচ্চিত্রের মানুষ ছোট হয়ে গেছে। সম্প্রতি এমনটাই লিখেছেন জায়েদ-মৌসুমী-ওমর সানি।
জায়েদ খানকে আজীবন বহিষ্কারের দাবি নিয়ে তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি নোট পোস্ট! তিনি তিনজনের ছবি জুড়ে দেন এবং লেখায় দেখা যায়, শিল্পী জায়েদ খানের কর্মকাণ্ডের কারণে আমরা পুরো ছবির মানুষ এখন মুখ দেখাতে পারছি না। এখন আমরা জনগণের দ্বারা নিন্দিত হয়েছি। একেবারে ছোট। তাই শিল্পী জায়েদ খানকে চলচ্চিত্রের সব কর্মকাণ্ড থেকে চিরতরে বহিষ্কার করতে আমি অনড়। ‘
মৌসুমীর প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নির্মাতাও। তিনি আরও লিখেছেন, “আমরা অনুরোধ করছি যেন কোনো প্রযোজক মৌসুমীকে নিয়ে কোনো ছবি না করেন।”
এর আগেও তিনি এ ঘটনার জন্য ওমর সানিকে দায়ী করেছিলেন। তিনি বলেন, ওমর সানির আগে বিচার হওয়া উচিত। কেন তিনি তার স্ত্রীকে ক্ষমতায় রাখতে পারবেন না? তার অভিযোগের পর কেন তার স্ত্রী তার বিরুদ্ধে যাবে? এদেশে তার মতো নায়ক কয়জন আছে?
এর আগে পরিচালক বলেন, “মৌসুমীকে নিয়ে কী বলব বুঝতে পারছি না। জায়েদ খানের মতো ছেলের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব কী? সানি-বর্ষা এসব সমস্যার সমাধান করা উচিত। বসে বসে কথা বলে সব ভুল শুধরে দিন। আমি খুশি। ওমর সানির বক্তব্য যে তিনি অভিভাবক হিসেবে তার সন্তানদের ওপর সব সিদ্ধান্ত ছেড়ে দিয়েছেন।আমার মনে হয় শিশুরা বিচারক হলে তাদের পরিবার ও তাদের জন্য ভালো হবে।’
প্রসঙ্গত, সুপরিচিত নির্মাতা দেলোয়ার জাহান ঝন্টু নির্মিত সিনেমাগুলো দর্শকদের দিয়েছে অনক বিনোদন। তিনি সিনেমা নির্মাণ করে অনেক প্রসংশা কামিয়েছেন এবং সেই সাথে পেয়েছেন অনেক চলচ্চিত্র পুরুষ্কারও। তার মতো একজন নির্মাতা সত্যিই সিনেমা জগতে চির স্বরণীয় হয়ে থাকবে।