আসন্ন ৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রাক্কালে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশের হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের কথা উল্লেখ করে একটি টুইট করেছেন। তিনি দীপাবলি উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর বর্বর নির্যাতনের অভিযোগ তুলে ধরেন। এই টুইটটি বাংলাদেশ সময় ৩১ অক্টোবর রাত ১১টায় প্রকাশিত হয়, যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে।
ট্রাম্পের এই মন্তব্যকে অনেকেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করছেন। বিভিন্ন বিশ্লেষকদের মতে, সজীব ওয়াজেদ জয় মাসিক আড়াই কোটি টাকা খরচ করে ওয়াশিংটনের একটি লবিং ফার্ম ‘স্ট্রেক গ্লোবাল ডিপ্লোম্যাসি’কে নিয়োগ দিয়েছেন, যারা বাংলাদেশ ইস্যুতে রিপাবলিকান প্রার্থীকে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়েছে। এর পেছনে ভারতীয় হিন্দু ভোটেরও একটি উদ্দেশ্য রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, কেননা ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস ভারতীয় বংশোদ্ভূত।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ কিছু ক্ষেত্রে অতিরঞ্জিত হয়ে এসেছে। ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ বলেন, ট্রাম্পের এই টুইট ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক সুবিধা নেওয়ার একটি উদাহরণ। ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর জয় লবিস্ট নিয়োগ করে এ ধরনের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
অনেকের মতে, যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগের ঘটনা নতুন নয়। বাংলাদেশও বিভিন্ন সময় লবিস্ট নিয়োগ করে এসেছে। ২০০৪ সাল থেকে বিভিন্ন লবিস্টের মাধ্যমে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ উভয় দলই মার্কিন নীতিনির্ধারকদের কাছে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেছে।