ভালবাসা মানে কোন বাধা নেই। তাই দেশের মায়া ত্যাগ করে ফিলিপাইন থেকে বাংলাদেশের জয়পুরহাট গ্রামে ছুটে এসেছেন আনা মারিয়া ভেলাসকো নামের এক তরুণী। শুধু তাই নয়, তিনি তার ধর্ম ও নাম পরিবর্তন করেছেন। রোববার বিকেলে ইসলামিক আইন অনুযায়ী প্রেমিক আবদুল্লাহ হাইল আমানকে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের সময় ওই তরুণীর নতুন নাম রাখা হয় মরিয়ম আমান। বিয়ের অনুষ্ঠানে তরুণ বিদেশীকে দেখতে শত শত মানুষ ভিড় জমায়।
জানা গেছে, ফিলিপাইনের ওই তরুণীর প্রেমিক আবদুল্লাহ হেল আমান উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের মিনিগাড়ি গ্রামের সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মৃত শরফুল ইসলাম তালুকদারের বড় ছেলে। দুই বছর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ফিলিপিনো নাগরিক আনা মারিয়া ভেলাস্কোর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই সম্পর্কের কথা দুজনের পরিবারই জানে। এরপর পরিবারের সম্মতিতে ফিলিপাইন থেকে বিয়ের জন্য শনিবার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান ওই তরুণী। সেখান থেকে প্রেমিক আবদুল্লাহ হাল আমান তাকে সদর ক্ষেত্রলাল পৌরসভার একটি ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে প্রেমিক আবদুল্লাহ হেলে আমান বলেন, আমাদের মধ্যে দুই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তিনি একজন খ্রিস্টান ছিলেন, এখন ইসলাম গ্রহণ করেছেন। বিয়ে করতে বাংলাদেশে এসেছে। আমরা শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে করেছি।
আনা মারিয়া ভেলাস্কো বলেন, বাংলাদেশে এসে খুব ভালো লাগছে। এখানকার মানুষের সাথে খুব সহজে মিশতে পারি। বাংলাদেশের খাবার ও সংস্কৃতি আমার খুব ভালো লেগেছে। তার পরিবারও আমাকে গ্রহণ করেছে। আলহামদুলিল্লাহ, ভালো আছি।
উভয় পক্ষের সম্মতিতে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন আমানের স্বজনরা। ফিলিপাইনের ওই তরুণী আসার পর থেকেই সবার সঙ্গে মিশে যাচ্ছেন। এখানকার খাবার তার খুব ভালো লাগে। তাকে দেখতে অনেকেই বাড়িতে আসছেন। আনা মারিয়া ভেলাস্কোও একটু বাংলা বলতে পারেন।
ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ফিলিপিনো নাগরিক আনা মারিয়া ভেলাস্কোকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে। তিনি বলেন, তিনি নিজ ইচ্ছায় বাংলাদেশে এসেছেন।