জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার পর দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব পড়ে। জ্বালানীর পর যদি বিদ্যুৎ উৎপাদন বাধাগ্রস্থঘয় তাহলে শিল্প প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনে বড় প্রভাব পড়বে। তাই দেশের বিদ্যুৎখাত সচল রাখতে সরকার চেষ্টা করছে। এই খাতটিকে অন্য সকল খাতে থেকে ভিন্ন অবস্থানে রেখে সচল রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনে জ্বালানির বিকল্প ব্যবস্থা খতিয়ে দেখছে সরকার।
আগামী এক বছরের মধ্যে ১০০০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ আসবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। এছাড়া নভেম্বরে লোডশেডিং পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, দাম বেশি হওয়ায় স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি কেনা বন্ধ হয়ে গেছে। সরকার ভর্তুকি দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। যার কারণে বিদ্যুতের ঘাটতি মেটানো কঠিন।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, সংকটের মুহূর্তে অন্যান্য দেশ বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ দাম বাড়ায়নি। এছাড়াও, উন্নয়নশীল দেশগুলি সংকটের সময় কয়লার দিকে ঝুঁকছে।
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের সঙ্গে জড়িত কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তবে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের বিষয়েও তদন্ত চলছে।
তিনি বলেন, শিল্প কারখানা চায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ। চড়া দামে গ্যাস আনা হলেও ব্যবসায়ীদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়া যায় কি না, তা ভাবা হচ্ছে। একই সঙ্গে তিনি বলেন, নভেম্বরে লোডশেডিং পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিদ্যুৎ ছাড়া দেশ এক কথায় অচল হয়ে পড়বে তাই সরকার খাতটিকে সচল রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে বিদ্যুতে যাতে এর প্রভাব না পড়ে, তাই সরকার বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি প্রদান করে যাচ্ছে। এর আগে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির কথা বলা হলেও আপাতত বাড়ানো হচ্ছে না বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়।