সরকার দেশে রাতারাতি জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে অধিক মাত্রায়, যার কারণে সরকার বিপদে পড়বে, এটা বুঝতে পেরেও সরকারকে এমনটি করতে হলো। বিপদ আসবে এটা জেনেও এই ক্ষমতাসীন দলীয় সরকার কেন করলো সেটা অনেকেই বুঝতে পেরেছেন। আগামীতে নির্বাচন এটা জানা সত্ত্বেও তারা এটি করেছে এর পিছনে কারণ কি যেটা অনেকের কাছে এখন স্পষ্ট। তবে সরকার যেটা করেছে সেটা নিজেদের বিপদ হিসেবেই ভবিষ্যতে তোলা থাকবে। একই সুরে কথা বলেছেন গোলাম মাওলা রনি। তার
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্টটি হবুহু তুলে ধরা হলো-
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি অনৈতিক, অমানবিক ও অযৌক্তিক! এই মূল্যবৃদ্ধি জনগণের চেয়ে সরকারকেই বেশি বিপ’দে ফেলবে! শোকের মাসে যারা এই ধরনের আত্মঘা”তী বুদ্ধিটা দিয়েছিলেন, আগস্টে তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কতটা উপকার করেছেন তা বুঝতে আর বেশি অপেক্ষা করতে হবে না!
মূল্যবৃদ্ধির কারণ অনৈতিক, কারণ গত কয়েক বছর ধরে বিশ্ববাজারে তেলের দাম কম। পত্রিকায় দেখলাম, কম দামে তেল কিনে চড়া দামে বিক্রি করে সরকার বছরে পাঁচ হাজার কোটি টাকা মুনাফা করেছে। এ ছাড়া কর ভ্যাট বাবদ হাজার হাজার কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হয়েছে। তাই এই বিপদের দিনে জ্বালানি খাতে ভর্তুকি না দিয়ে দাম বাড়ানো অনৈতিক!
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হবেন প্রান্তিক মানুষ! দেশের অধিকাংশ গাড়ির মালিক সরকারী কর্মচারীদের পরিবার এবং সরকারী অফিস সমূহ। দ্বিতীয় তালিকায় রয়েছে সরকারি দলের নেতা-কর্মী, সুবিধাভোগী, দালাল ও পাণ্ডারা। তৃতীয় তালিকায় রয়েছে ধনী ও উচ্চবিত্তরা! জ্বালানি তেলের দাম লিটার প্রতি ১০০০ টাকা হলেও কোনো ক্ষতি হবে না, কারণ তারা তো ধনী ও উচ্চবিত্ত।
কিন্তু গ্রামের কৃষকদের সেচের কাজ চালানো, দরিদ্র মানুষের জন্য লঞ্চ-বাসে যাতায়াত, শিল্প কারখানায় জেনারেটর চালানো এবং যেখানে এখনও বিদ্যুৎ নেই সেখানে হারিকেন জ্বা’লানো মানুষের জীবনে দুর্বিষহ ও অমানবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি করবে।
আপনি যদি দাম বৃদ্ধির হার দেখেন তবে আপনি দেখতে পাবেন যে বর্ধিত দাম বিশ্ববাজারে প্রচলিত দামের সাথে সামঞ্জস্য করা হয়নি। তাই এই মূল্যবৃদ্ধি সামগ্রিকভাবে অযৌক্তিক।
উল্লেখ্য, তবে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিতে ধনীক শ্রেণীর মানুষের জীবনমানের ওপর তেমন কোনো প্রভাব না পড়লেও সাধারণত নিম্নআয়ের মানুষ মা”রাত্মক বিপদে পড়বে। দেশের বেশির ভাগই নিম্নআয়ের সাধারণ মানুষ তারা এই ধরনের পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবে বলে মনে হয় না। তবে যেহেতু জীবন পরিচালনা করতে হবে, তাই তারা অনেকটা বাধ্য হয়েই নিজেদের মানিয়ে নিবে চলমান বিপদসংকুল পরিস্থিতির সাথে.