বাংলাদেশে গেলো মাসখানেক আগে হঠাৎই বেড়ে যায় জ্বালানি তেলের দাম। আর সেই থেকেই দেশের তেলের দাম নিয়ে দেখা দেয় নানা ধরনের অস্থিরতা। এ দিকে এবার তেলের দাম নিয়ে আবারও নতুন করে একটি দুষসংবাদ দিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেছেন বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে স্থানীয় বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমানোর কোনো সুযোগ নেই। তিনি বলেন, জ্বালানি পরিস্থিতি নিয়ে আশাবাদী হওয়ার সুযোগ কম।
শুক্রবার নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ দাবি করেন, দেশে লোডশেডিং কমেছে।
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি ও লোডশেডিংয়ের কারণে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়া উল্লেখ করে বুধবার ডিজেলের দাম কমানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি দেয় বিজিএমইএ।
এর আগে গত ৫ আগস্ট জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয় সরকার। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটার প্রতি ৩৪ টাকা থেকে ১১৪ টাকা, অকটেনের দাম লিটারে ৪৬ থেকে ১৩৫ টাকা এবং পেট্রোলের দাম ৪৪ টাকা বাড়ানো হয়েছে। প্রতি লিটার ১৩০ টাকা।
হঠাৎ করে বাড়ানো তেলের দাম কমানো হয় ২৪ দিন পরে। সে সময়ে জ্বালানি তেল প্রতি লিটার কমানো হয় ৫ টাকা করে। এরপর আর কমেনি দেশে জ্বালানি তেলের দাম।