বেশ কিছু দিন ধরে বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের দাম মাত্রাতিরিক্ত হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে বিশস্বের অনেক দেশই নানা ভাবে সংকটের কবলে পড়েছে। এবং বিশ্ব বাজারে এক অস্থিরতা বিরাজ করছে। মূলত বৈশ্বিক মহামারি এক্ষেত্রে বেশি প্রভাব ফলেছে। তবে সম্প্রতি নায় উদ্যেগ গ্রহন করেছে আমেরিকা জ্বালানি তেলের দাম কমাতে।
জ্বালানি তেলের দাম সহনীয় রাখতে আমেরিকা নতুন উদ্যোগ নিল। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মঙ্গলবার জানিয়েছেন, আমেরিকার আম জনতার জন্য তেল ও গ্যাসের দাম কমাতে দেশের পেট্রোলিয়াম ভান্ডার থেকে ৫ কোটি ব্যারেল তেল ছাড়া হবে। এর ফলে সে দেশে জ্বালানির দাম কমবে বলে মনে করছেন অনেকে। পাশাপাশি, এতে বিশ্ব জুড়ে জ্বালানির দামেও প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। তবে এ দেশে তেলের দাম কবে কমবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। মঙ্গলবার টুইটারে বাইডেন লিখেছেন, ‘আমেরিকান পরিবারদের জন্য তেল এবং গ্যাসের দাম কমাতে পদক্ষেপের কথা আজ ঘোষণা করছি। আমেরিকাবাসীদের জন্য স্ট্র্যাটেজিক পেট্রোলিয়াম রিজার্ভ থেকে ৫ কোটি ব্যারেল তেল ছাড়বে শক্তি মন্ত্রক, যাতে তেল এবং গ্যাসের দাম কমানো যায়।’
বাইডেনের এই সিদ্ধান্তে আমেরিকার সাধারণ মানুষেরা যে স্বস্তি পাবেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। গত সাত বছরের মধ্যে আমেরিকায় তেলের দাম বেড়ে সর্বোচ্চ হয়েছে। আমেরিকান অটোমোবাইল অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, সোমবার ১ গ্যালন তেলের দাম ৩.৪০৯ ডলার ছুঁয়েছে। অথচ বছরখানেক আগেও এর দাম ছিল প্রতি গ্যালন ২.১১ ডলার। বাইডেনের এই ঘোষণার পর একটি বিবৃতিতে হোয়াইট হাউসের প্রতিশ্রুতি, ‘তেলের দাম কমাতে প্রয়োজনে অতিরিক্ত পদক্ষেপ করা হবে।’ বাইডেনের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে বিশেষজ্ঞরা। বিনিয়োগকারীদের পরামর্শদাতা সংস্থা ‘এগেন ক্যাপিটাল’-এর কর্ণধার জন কিলডাফের মতে, ‘তেলের দাম কমাতে এটি অত্যন্ত সময়োচিত পদক্ষেপ। শীতকালের আগে উৎপাদনে খামতি মেটাতে এই অতিরিক্ত তেলের জোগান সহায়ক হবে।’
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মত বাংলাদেশের জ্বালানি তেলের বাজারেও অস্থিতিশীল পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারও সমগ্র দেশ জুড়ে তেলের দাম বৃদ্ধি কড়েছে। অবশ্যে গত কয়েক দিনে আগের থেকে কিছুটা তেলের দাম কমেছে বিশ্ব বাজারে।