Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Countrywide / জ্বালানি উপদেষ্টা আসলে বহুজাতিক কোম্পানি ও দেশি কিছু গোষ্ঠীর লবিস্ট : অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ

জ্বালানি উপদেষ্টা আসলে বহুজাতিক কোম্পানি ও দেশি কিছু গোষ্ঠীর লবিস্ট : অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ

সম্প্রতি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সংকটের মুখে পড়ার কারনে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ব্যাপক সমস্যার মুখে পড়েছে। কারন লাগাতার দু/র্নীতি ও অর্থ পাচারের কারনে দেশের রিজার্ভ সংকট তৈরী হয়েছে যার ফলে সরকার আবদানি নির্ভর পন্য বিশেয় জ্বালানি তেল ও গ্যাস আবদানি করতে পারছে না। কিন্তু সরকার বলছে ইউক্রেন-রাশিয়া যু/দ্ধের কারনে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এই যু্/দ্ধ না হলেও বিদ্যুৎ সংকট সৃষ্টি হতো না সরকারে পক্ষে থেকে এমন বক্তব্যের বিরোধী করেন (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার ও অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।

ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যু/দ্ধ না ঘটলেও দেশটির বিদ্যুৎ খাতে সংকট দেখা দিত। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বিদ্যুৎ নিয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের বক্তব্য সুচিন্তিত নয়। তারা বলছেন, যু/দ্ধ না হলেও এমন পরিস্থিতি হতো। কারণ এখানে অব্যবস্থাপনা ও অনিয়ম সবই ছিল। তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, বর্তমান বিদ্যুৎ সংকট গত কয়েক বছর ধরে জ্বালানি ও বিদ্যুতের বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের ফল। ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যু/দ্ধ না ঘটলেও এই সংকট দেখা দিত। এই যু/দ্ধ সংকটকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। সরকার নিজের মধ্যেই সংকট ক্ষেত্রটি তৈরি করেছে। দেশে স্থল ও সমুদ্র থেকে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনে সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নেয়নি। জাতীয় সক্ষমতা বাড়াতে পারেনি।

এটা করলে এমন হতো না। ২০০৯ সালে এ নিয়ে সরকারের সঙ্গে আমাদের অনেক সংঘাত হয়েছিল। এরপর আমাদের ওপর পুলিশ দিয়েও হামলা করা হয়।

আমাদের দাবি ছিল অন্য দেশের সঙ্গে চুক্তি না করে দেশের জাতীয় সংগঠনের সক্ষমতা বাড়ানো। আমরা যদি তখন উদ্যোগ নিতাম তাহলে এতদিনে আমাদের গ্যাস সরবরাহ অনেক বেড়ে যেত। এতে করে বেশি দামে এলএনজি আমদানি করতে হতো না। এলএনজি চুক্তি না হলে এবং তেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র না হলে আমাদের বিদ্যুৎ সংকট হতো না।

তিনি বলেন, তেল ও এলএনজির দাম বৃদ্ধির কারণে এখন বিদ্যুৎ সংকট দেখা দিয়েছে। আর একই সময়ে রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রয়োজন ছিল না। সরকার ভারত ও চীন সম্পর্কিত প্রকল্পগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। এখন নিজেদের অপকর্মের জন্য সংকট তৈরি হয়েছে। তাদের এটাকে তো ধামা চা/পা দিতে হবে। এ কারণে তারা বেমানান কথা বলছে। তারা নিজেরাই দায়ী। প্রথমত, তারা ইউক্রেনের যু/দ্ধের কথা বলছে। আর সমাধান হিসেবে সব কথা বলা- এটা উচিত হয়নি। তিনি বলেন, তারা ব্যবসায়ীদের ব্যবসা দেবেন। ভারত ও চীনকে খু/শি করবেন। রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রকে খুশি করে ক্ষমতায় থাকতে চায়। সেই কারণেই আজকের এই সমস্যা দেখা দিয়েছে।

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, জ্বালানি উপদেষ্টা আসলে বহুজাতিক কোম্পানি ও দেশি কিছু গো/ষ্ঠীর লবিস্ট। গত তিন দশকে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে বিপর্যয়কর অপকর্মের পেছনে সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের একজন।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক মো. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, হাজার হাজার টাকা ভর্তুকি দিলেও এখন বিদ্যুতের সংকট। যার কারণে আমরা বিদ্যুতের সুবিধা পাইনি। শুধু ভর্তুকি নয়, এর সঙ্গে যুক্ত আমাদের কর্মকর্তাদেরও ছাড় দেওয়া হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ জবাবদিহিতা, দায়িত্বহীনতা এবং স্থূল অব্যবস্থাপনার বহিঃপ্রকাশ। আমরা বিভিন্নভাবে বিভিন্ন মানুষকে সুযোগ-সুবিধা দিয়েছি। আমাদের জ্বালানি ও গ্যাস সংকটেও সঠিকভাবে বিনিয়োগ করা হয়নি। বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যে বলেছেন, ইউক্রেনে যু/দ্ধ না হলেও জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে আমাদের সমস্যা হতো। কারণ আমরা সঠিক সিদ্ধান্ত নিইনি। এর ফলে প্রচুর অপচয় হয়েছে। আর বিভিন্ন মানুষের স্বার্থ পূরণ হয়েছে। এখন তারা সমাধান দিতে না পেরে বিভিন্ন মানুষ নানা অজুহাত দিচ্ছেন। এটা তারই প্রতিফলন। ভবিষ্যতে এই সংকট আরও ভয়াবহ হবে। বিদ্যুৎ সম্পর্কে তাদের বর্তমান বিবৃতিগুলি সুচিন্তিত বিবৃতি নয়।

প্রসঙ্গত, সরকার ক্ষমতায় থাকতে যে সব অপকর্মকান্ড করেছে তার ফল এখন আমাদের ভোগ করতে হচ্ছে বলে মন্তব্য করে বিশেষজ্ঞরা ।তারা বলেন সরকার যে পরিস্থিতি তৈরী করছে সেটির জন্য সামনে আরও খারাপ অবস্থার মুখে পড়বে দেশ।

About Babu

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *