এই চক্রের প্রধান উদ্দেশ্যই হলো মানুষকে ফাঁদে ফেলে তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়া। আর এই উদ্দেশ্য সফল করতে কয়েকদিন আগে থেকেই ভুক্তভুগীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলতো তারা। এরপর সুযোগ বুঝে আপত্তিকর ছবি তুলে চাঁদা দাবি করতো এই চক্রটি। সম্প্রতি এমনই অভিযোগের আলোকে এই চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২ নভেম্বর) বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
কারাগারে যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন- নোয়াখালী সদর উপজেলার বাসিন্দা মোঃ মহসিন টিটু, জোবেদা, নারগিস আক্তার, ইসমত আরা ও জহির উদ্দিন। তাদের কাছ থেকে ‘অ’শ্লী”’ল ভিডি’ওসহ পাঁচটি মোবাইল ফোন ও একজনে’র মোটর’সাইকেল জব্দ করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ‘অ”শ্লী”ল ছবি সংগ্রহকারী অসাধু চক্রের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ আসছিল। অবশেষে আব্দুল খালেক বেচু নামে এক ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত ওই পাঁচজনকে আটক করা হয়।
ভিকটিম আব্দুল খালেক বেচু বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে মাইজদী যাচ্ছিলাম। দত্তবাড়ির পরিচিত মহসিন টিটু আমাকে চায়ের আমন্ত্রণ জানান। পরে সে আমাকে জোর করে তার বাসায় নিয়ে যায়। রুমে ঢুকতেই বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়। কিছুক্ষণ পর অজ্ঞাত এক ব্যক্তি এক নারীসহ আরও পাঁচজনকে নিয়ে ওই বাড়িতে প্রবেশ করে। এ সময় তারা আমাকে উলঙ্গ করে এবং সেখানে থাকা এক নারীর সঙ্গে ছবি তোলে। পরে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। না পেয়ে আমার মোটরসাইকেল রেখে ছেড়ে দেয়।
এ বিসয়ে নোয়াখালী থানার এসপি মো. শহীদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়টি নিশ্চিত করে সংবাদ মাধ্যমকে জানান, থানার এ অভিযোগ আসার পরপরই অভিযান চালিয়ে এই চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কিনা, সেই দিকটিও খুতিয়ে দেখা হচ্ছে।