আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে থাকা অবস্থায় মায়ের মৃত্যুতে যেন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন অবুঝ তিন ভাইবোন। দীর্ঘদিন ধরেই শারীরিক অসুস্থায় ভুগছিলেন নাদীয়া জাহান। মামলায় তাকে কারাগারে যেতে হলেও তার সুচিকিৎসার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেন আদালত। কিন্তু আদালতের এ নির্দেশের যেন তোয়াক্কাই করছিলেন না জেল সুপার। আর এরই মধ্যে চলতি বছরের গত ( Past ) ৮ এপ্রিল ( April ) টাঙ্গাইল কারাগারে ( Tangail Jail ) থাকা অবস্থা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন নাদীয়া।
মঙ্গলবার (৩১ মে ( May )) বিকেলে ( afternoon ) টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে ( Tangail Press Club ) এক সংবাদ সম্মে ( May )লনে যমজ ভাই হাসান ( Hassan ) ও হোসেন এবং বোন সোনালী আক্তার ( Sonali Akhter ) ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এর আগে গত ( Past ) ১৯ এপ্রিল ( April ) নাদিয়ার স্বামী মো. মিনহাজ উদ্দিন ( Md. Minhaj Uddin ) বাদি হয়ে জেল সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন ( Md. Abdullah Al Mamun ) ও ডেপুটি জেলারসহ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
সংবাদ সম্মেলনে মিনহাজ উদ্দিনের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে তার মেয়ে সোনালী আক্তার বলেন, আমার মা নাদিয়া জাহান শেলী ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগে ভুগছিলেন। এরপর গত ৪ এপ্রিল তিনি একটি মামলায় সখীপুর আমলী আদালতে হাজির হন। অসুস্থতার কারণে এবং জামিনের আবেদন করেন।এ সময় তিনি আদালতে শারীরিক অসুস্থতার প্রতিবেদন দাখিল করলেও বিচারক তাকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠান।তবে বিচারক নাদিয়া জাহান শেলীকে যথাযথ চিকিৎসার জন্য জেল সুপারকে নির্দেশ দেন। অসুস্থ ছিলেন।কিন্তু কারা সুপার মো.আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ দায়িত্বরত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটসহ অন্যরা কোনো চিকিৎসা ছাড়াই মাকে সাধারণ বন্দি হিসেবে সাধারণ ওয়ার্ডে রাখেন। সুচিকিৎসার অভাবে গত ৮ এপ্রিল রাতে তিনি মারা যান।
হাসান ও হুসেন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “আমার মা খুব অসুস্থ ছিলেন।” এরপরও জেল সুপার তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেননি। আদালতের নির্দেশ অমান্য করেছেন জেল সুপার। আমরা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। ”
এদিকে এ অভিযোগের আলোকে জেলা সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ অভিযোগ অস্বীকার করে সংবাদ মাধ্যমকে জানান, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী নাদীকাকে কারাগারে সুচিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এরপর হঠাৎ সে দুনিয়া থেকে বিদা্য় নিয়ে সব আইনি পক্রিয়া শেষে লাশ স্বজনদের কাছে পাঠানো হয়।