মিথ্যা অভিযোগ সাজিয়ে গত বছরের ১০ অক্টোবর রাতে রায়হান আহমদ নামে এক যুবককে সিলেট মহানগর পুলিশের বন্দরবাজারে নিয়ে অমানবিক নির্যাতন অতঃপর প্রাণহানির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় এই মুহুর্তে কারাগরের চার দেয়ালের মাঝে দিন কাটছে মামলার প্রধান আসামি ও বরখাস্ত এসাআই আকবরের। তবে এরই মধ্যে এবার জানা গেছে, এ মামলা থেকে বাঁচতে নিহত রায়হানের স্ত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন এসআই আকবর।
সম্প্রতি এক ফেসবুকে পেজে রায়হানের মায়ের দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ তথ্য দেন।
তিনি জানান, শনিবার (৩ অক্টোবর) তাকে এ প্রস্তাব দেওয়া হয়।
ফেসবুক পেজের লাইভে রায়হানের মা জানান, প্রশাসনের এক ব্যক্তিকে দিয়ে আমার বউমাকে সে বিয়ে করার প্রস্তাব পাঠায়। পাশাপাশি আমার বউমা, নাতি, ও আমার ভরণপোষণের দায়িত্ব নেবে বলে জানায়। আমি তার প্রস্তাব ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছি।
এদিকে পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে নিহত রায়হানের মৃ্ত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলার চার্জশিট গ্রহণ করেছেন মহানগর দায়রা জজ আদালত। এ ছাড়া পলাতক আরেক আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। গত বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) চার্জশিট গ্রহণ করে এ আদেশ জারি করেন আদালত।
এর আগে, গত ৫ মে আলোচিত এ মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করে পিবিআই।
গত বছরের ১০ অক্টোবর মধ্যরাতে সিলেট মহানগর পুলিশের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে তুলে নিয়ে রায়হান আহমদকে নির্যাতন করা হয়। ১১ অক্টোবর তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে রায়হানের স্ত্রীর করা মামলার পর মহানগর পুলিশের একটি অনুসন্ধান কমিটি তদন্ত করে ফাঁড়িতে নিয়ে রায়হানকে নির্যাতনের সত্যতা পায়। ফাঁড়ির ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ চারজনকে ১২ অক্টোবর সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়।
আর এ ঘটনার পরপরই পুলিশি হেফাজত থেকে পালিয়ে যান আকবর। তবে দীর্ঘ ১ মাস কঠোর চেষ্টা চালিয়ে গত বছরের ৯ নভেম্বর আকবরকে আটক করতে সক্ষম হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে এতদিক ‘গা ঢাকা’ দিয়ে থাকার ব্যাপারে আকবর বলেছিলেন, তিনি দেশ থেকে পালিয়ে ভারতে চলে গিয়েছিলেন।