ভুয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দিয়ে আটক করে কারাগারে রাখার জন্য ৩২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন বলে হাইকোর্টকে জানানো হয়েছে। আকতারুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে সোমবার (১ আগস্ট) বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি এ মামলায় দেলোয়ার হোসেন নামে এক ব্যক্তি ১৬৪ ধারায় সাক্ষ্য দেন। উল্লেখিত ব্যাক্তি এই ক্ষতিপুরনের কথাও স্বীকার করেছেন আদালতে।
ভুয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর সাভার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কৃষি বিভাগের প্রোগ্রাম অফিসার মো. আওলাদ হোসেনকে কারাগারে রাখার জন্য ৩২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন বলে হাইকোর্টকে জানানো হয়েছে। তিনি এই ক্ষতিপূরণ দিয়েছেন। আবেদনকারীর আইনজীবী এমাদুল হক বশির আদালতকে এ তথ্য জানান। একইসঙ্গে ক্ষতিপূরণ চেয়ে করা রিট আবেদনের কোনো প্রক্রিয়া হবে না বলেও আদালতকে জানানো হয়। পরে আইনজীবী সাংবাদিকদের জানান, ভুয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর সাভার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কৃষি বিভাগের প্রোগ্রাম অফিসার মো. আওলাদ হোসেনকে কারাগারে রাখার মামলায় তাকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর মধ্যে আওলাদ হোসেন ৩২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন। বিষয়টি আদালতকে অবহিত করেছি। আবেদনকারী বলেছেন যে তিনি এই মামলাটি আর চালাবেন না।
উল্লেখ্য, ভুয়া বানোয়াট গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে এক ব্যাক্তিকে দোষী প্রমানিত করে তাকে জেল খাটানো হয়েছিল। পরবর্তীতে সেই বিষয়ে প্রমানিত হওয়ার পরে তাকে কারাগার থেকে ছেরে দেওয়া হয়। এমনকি তাকে বিনা অপরাধে এবং ভুয়া পরোয়ানা দিয়ে জাল খাটানোর জন্য ৩২লাক্ষ টাকা জরিমানাও প্রদান করা হয়েছে।