ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কারাগারে নারী বন্দিরা গর্ভবতী হচ্ছে এবং সন্তান প্রসব করছে। সুপ্রিম কোর্টের আদেশ মেনে রাজ্য কারাগারগুলির পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার সময় বিষয়টি ‘অ্যামিকাস কিউর’ বা আদালতের বন্ধু হিসাবে নিযুক্ত আইনজীবী তাপস ভাঞ্জারের নজরে আসে।
ভারতীয় মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, দমদম ও আলিপুরের মহিলাদের সংশোধনাগারের একদল বন্দী সেই রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিদের সামনে।
সোমবার (12 ফেব্রুয়ারি), জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য, ডেলিনা খংডুপ এবং শালিনী সিং, দমদম সেন্ট্রাল কারেকশনাল ফ্যাসিলিটি এবং আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারের মহিলা বন্দীদের ব্লক পরিদর্শন করেন।
কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কয়েকজন নারী বন্দী তাদের সামনে অভিযোগ করেছেন, প্রতিবেদনের কারণে তাদের সামাজিক সম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে। শিশুটির ‘পিতৃত্ব’ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারাগার থেকে বেরিয়ে তারা সমাজে ফিরবে কী করে?
নারী কারাগারে পুরুষদের প্রবেশাধিকার নেই। আদালত বন্ধুর প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ প্রকাশের পর প্রশ্ন উঠেছে, কারাগারে নারী বন্দিরা কীভাবে গর্ভবতী হলেন? আইনজীবীদের কেউ কেউ মনে করেন, এই ঘটনা সত্য হলে অভিযোগের আঙুল জেল কর্মীদের দিকে যেমন উঠতে পারে, তেমনি সংশোধনাগারে বাইরের পুরুষদের আনাগোনা আছে কি না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে।
তবে কারা কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ওই নারী বন্দিরা জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিদের বলেছেন, কারাগারে আসার পর গর্ভধারণের কোনো ঘটনা ঘটেনি। জেলে এমন ঘটনার কথাও তারা শোনেনি। প্রতিবেদন তৈরির আগে তাদের সঙ্গে কথা হয়নি বলেও দাবি করেন তারা।