বলিউড তারকা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর তার কথিত প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তীর জীবন টালমাটাল। মাদ;ক মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাবরণ করতে হয়েছে বলিউডের এই অভিনেত্রীকে। তবে দীর্ঘদিন জেলে থাকার পরও মুখ খোলেননি রিয়া। অবশেষে জেলে জীবন কেমন ছিল তা নিয়ে মুখ খুললেন বাঙালি অভিনেত্রী।
জেলজীবন নিয়ে লেখক চেতন ভগতের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলেছেন রিয়া।
রিয়া বলেন, সুশান্তের মৃত্যুর পর তার সঙ্গে যেভাবে ঘটনা ঘটছিল, তাতে তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে তাকে জেলে যেতে হবে। ‘ক”রো’না’র সময় বন্দি থাকার কারণে রিয়াকে প্রায় ১৪ দিন একা একটি কক্ষে থাকতে দেওয়া হয়েছিল। জেলে খাওয়ার জন্য মিলত কেবল রুটি আর ক্যাপসিকাম।
রিয়া বলেন, ”ক”’রো”’নার সময় নির্দিষ্ট কিছু নিয়মে ১৪ দিন কারাগারের একটি কক্ষে সম্পূর্ণ একা রাখা হয়। আমাকে জিজ্ঞেস করা হলো আমি দুপুরের খাবার খাব কি না। সত্যি কথা বলতে কি, আমি এতটাই ক্ষুধার্ত এবং ক্লান্ত ছিলাম যে যা দেওয়া হয়েছিল তা খেয়ে ফেলতাম। সেই সময় আমাকে রুটি আর ক্যাপসিকাম খেতে দেওয়া হয়েছিল। তরকারির মতো ছিল এমন ভাবার কোনো কারণ নেই। শুধু ক্যাপসিকাম আর পানি ছিল।’
রিয়া আরও জানান, জেলে তাঁকে সকাল ৬টায় নাশতা দেওয়া হতো, মধ্যাহ্নভোজ মিল বেলা ১১টায়; রাতের খাবার দেওয়া হতো বেলা ২টায়। রিয়া বলেন, ‘জেল ব্রিটিশ নিয়মে চলে, তাই দুপুরেই রাতের খাবার দেওয়া হতো। সকাল ৬টায় আমার কক্ষের তালা খোলা হতো, বিকেল ৫টায় বন্ধ হতো।
এ সময় গোসল করা যেত এবং লাইব্রেরি দেখার সুযোগ ছিল। রাতের খাবারের বেশির ভাগ সময়ই রেখে দিতাম, তারপর সাত-আটটার দিকে খেয়ে নিতাম।’
জেলবন্দী সময়ে রিয়ার জীবনবোধ তৈরি হয়। এ প্রসঙ্গে একই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘জেলবন্দী থাকাকালে দেখেছি, অনেক বন্দীর পরিবারের সামর্থ্য নেই—৫ বা ১০ হাজার রুপির বিনিময়ে তাঁদের ছাড়িয়ে নিয়ে যাবে। আমার তো তা-ও পরিবার ও বন্ধুরা আছে। আমার নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে হতো।’
রিয়া আরো বলেন, কারাগারে থাকার সময় তিনি অনেক মানসিক চাপে ছিলেন। সেখানে নোংরা বাথরুম বা শারীরিক অসুবিধা কিছুই মনে হতো না।