পিকে হালদার দেশের অর্থপাচার দুর্নীতিতে শীর্ষস্থানের খেতাব পেয়েছে। দুর্নীতিবাজ ও আর্থিক কেলেংকারির দিক থেকে তাকে যুবরাজ বলা হয়। পিকে হালদার গ্রেফতারের পর শুধু বাংলাদেশ নয় পশ্চিমবঙ্গের অশান্তির কারণ হিসেবে তার নাম এসেছে। জানা গেছে এই অর্থ পাচারকারীর কানাডা, দুবাই এবং গ্রানাডাতে ও বিপুল পরিমাণ সম্পদ রয়েছে। কিছুদিন আগে পিকে হালদার ভারতের পশ্চিমবঙ্গে গ্রেফতার হয়েছেন।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী বলেছেন যে, পিকে হালদার এবং তার সহযোগীদের জিজ্ঞাসাবাদের পর ভারতের বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম পাওয়া গেছে যারা বাংলাদেশ থেকে ৩,৫০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করার পর পালিয়ে গিয়েছিল। তিনি বলেন, সম্ভবত তাদের নামও চার্জশিটে থাকবে।
আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হবে এবং ২০ জুলাই এটি দাখিল হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না, এমনটাই বলেছেন চক্রবর্তী। পিকে হালদার এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ১৯৮৮ সালের দুর্নীতি বিরোধী আইন এবং ২০০২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের অধীনে অভিযোগ আনা হয়েছে।
ভারতের আর্থিক দুর্নীতির তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) দ্বারা পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা থেকে ১৪ মে পিকে হালদারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পিকে হালদারের পাঁচ সহযোগীকেও গ্রেপ্তার করেছে তারা।
গ্রেপ্তারের আগে, ইডি রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পিকে হালদারের প্রাসাদ-সদৃশ বাড়ি সহ বেশ কয়েকটি সম্পত্তি খুঁজে পেয়েছিল।
৭ জুন, ইডি আদালতকে জানায় যে তারা পশ্চিমবঙ্গ সহ ভারতের বিভিন্ন স্থানে পিকে হালদার এবং তার সহযোগীদের ছয়টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুঁজে পেয়েছে। ইডি আদালতকে আরও জানিয়েছে যে পিকে হালদার এবং তার সহযোগীদের ৩০০ কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে।
শুধু পিকে হালদারই এই অর্থ আত্মসাৎ করেননি, সেই সাথে তিনি তার কয়েকজন ঘনিষ্ঠ বান্ধবীকে বিপুল পরিমাণ অর্থ দিয়ে ফ্ল্যাট এবং গাড়ি বাড়ি কিনে উপহার দিয়েছেন। তিনি তার নিয়োগকৃত আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন এবং তারপর ওই অর্থ বিদেশে পাচার করেছেন এবং সেখানে বিলাসবহুল গাড়ি বাড়ি করার পর বিলাসী জীবন যাপন করতে শুরু করে। তবে তার শেষ রক্ষা হয়নি।