বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সম্পদ। এই বাহিনীর হাত ধরেই দেশের অনেক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। তবে গেল বেশ কিছু বছর ধরেই এই সেনাবিহীনি নিয়েই চলছে নানা ধরনের আলোচনা আর সমালোচনা। বিশেষ করে সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধানকে নিয়ে হয়েছে সব থেকে বেশি সমালোচনা। তার সময়ে তিনি যে সব দুর্নীতি আর ক্ষমতার অব্যবহার করেছেন তা প্রকাশ পেতে শুরু করেছে আস্তে আস্তে।
এবার এসব নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন দেশের সাবেক সাংবাদিক বর্তমানে প্রবাসী জনাব জুলকারনাইন।পাঠকদের উদ্দেশ্যে তার সেই লেখনি তুলে ধরা হলো হুবহু:-
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাথে আমার সম্পর্ক রক্তের, যে বাহিনীর হাসপাতালে জন্মগ্রহন করেছি, রেশন খেয়ে বড় হয়েছি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা লাভ করেছি ও পরবর্তীতে সামরিক কর্মকর্তা হওয়ার প্রশিক্ষন গ্রহন করেছি, সে বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞ যদি না থাকি তাহলে সেটা আমার চরিত্রের সাথে বেশ বেমানান হয়ে যায়।
জেনারেল আজিজের মত একটা কুলাংগারের বিস্তারিত প্রকাশ করা আমার এক রকমের কর্তব্যই ছিলো, এই ব্যক্তি যেভাবে বাংলাদেশের সবচাইতে সম্মানিত এই প্রতিষ্ঠানটির সুনাম মাটিতে মিশিয়ে দিচ্ছিলো তা সহ্য করতে না পেরেই তার কদর্য্য কার্যকলাপের মুখোশ উন্মোচন করে, আমি নিজ ও আমার পরিবারের জীবন বেশ হুমকির সম্মুখীন করেছি। সফল ব্যবসায়ী থেকে বেছে নিয়েছি অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার জীবন।
সম্প্রতি আমি জানতে পেরেছি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একেবারে কেন্দ্রে বিদ্যমান এমন এক দুর্নীতিবাজ চক্রের বিষয়ে যারা সকল পর্যায়ের সেনা সদস্যদের একরকমের জিম্মি করে তাদের অতি কষ্টের উপার্জন উৎকোচের বিনিময়ে প্রদান করছে, জাতিসংঘ মিশনে জীবন বাজি রেখে কাজ করা সামরিক বাহিনীর সদস্যদের প্রাপ্য বেতন টাকার বিনিময়ে ছাড় করছে। সেনা কর্মকর্তাদের টিএ-ডিএ এবং অবসর পরবর্তী ফান্ডের টাকা নিয়ে নয়-ছয় করছে।
এসএফসি-এফসি (আর্মি) তে কর্মরত যারাই এসব বদমাইশির সাথে লিপ্ত তাদের অনেকের বিস্তারিত আমার কাছে এসেছে, এবং আরো আসছে। আপনারা যদি মনে করে থাকেন কেউই আপনাদের ঠেকাতে পারবেনা, তাহলে সেই ভুল ধারনা থেকে বের হয়ে আসা উচিত।
খোদার কসম, আমি আপনাদের এমনভাবে সিধা করবো যে মরার আগ পর্যন্ত মনে রাখবেন ফৌজি রক্ত কি জিনিষ।
আর যদি কোন সেনা সদস্যের কাছ থেকে ঘুষ আদায় বা তাদের প্রাপ্য পাওনায় কাট-ছাঁট করার চেষ্টা করেন, আপনাদের আগা থেকে গোঁড়ায় যারা আছে, তাদের কিভাবে আমি উলংগ করি সেটা দেখবেন, মাইন্ড ইট।
প্রসঙ্গত, জেনারেল আজিজ নেই এখন ক্ষমতায়। আর এই কারনে তার সব ধরনের কুকৃর্তি প্রকাশ পাচ্ছে আস্তে আস্তে। বর্তমানে জেনারেল আজিজ রয়েছেন দেশের বাইরে। ক্ষমতার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবার পর থেকেই তিনি আর ফেরেননি দেশে।