বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী দের মধ্যে একজন হচ্ছেন মাধুরী দীক্ষিত নব্বইয়ের দশক থেকে শুরু করে তার পথচলা এবং এরপর একের পর এক সিনেমায় অভিনয় করে নিজেকে তিনি নিয়ে গিয়েছেন অনন্য পর্যায়ে তার অনবদ্য অভিনয় দক্ষতা এবং নজরকাড়া সৌন্দর্য সবকিছু মিলিয়ে দর্শকদের মনে একরকম বিভিন্ন অনুভূতি তৈরি করে নিয়েছিলেন তিনি তার সেই অভিনয় ধারাবাহিকতায় তিনি বজায় রেখে নিজেকে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছিলেন
বলিউডের নব্বই দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী হলেন মাধুরী দীক্ষিত (Madhuri Dixit)। তিনি নব্বই দশকে হিন্দি সিনেমা.জগতে পা রাখলেও এখনও তার জনপ্রিয়তা একটুও কমেনি। এখনও তাকে ওয়েব সিরিজে কিংবা কোনো কোনো রিয়েলিটি শো-এর বিচারকের স্থানে দেখা যায়। এত সময় পেরিয়েও বলিউডে তিনি সমানতালে জনপ্রিয় থেকে গিয়েছেন। মাধুরী দীক্ষিতের জীবনের একটি অমোঘ সত্য তিনি কখনও প্রকাশ্যে আনতে চাননি। যদিও এই বিষয় নিয়ে একসময় বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হয় বলিউডের অন্দরে। মাধুরী দীক্ষিত ও অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত (Sanjay Dutta)-এর পরিচয় হয় ১৯৯১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সুপারহিট হিন্দি ফিল্ম ‘সাজন’-এর সেট থেকে। এরপর তাদের সম্পর্ক ধীরে ধীরে এগিয়ে যায়।
তারা একে অপরের প্রতি ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েন। তখন সঞ্জয় দত্ত বিবাহিত। তার স্ত্রী-এর নাম রিচা শর্মা (Richa Sharma)। তবু সঞ্জয় দত্ত প্রকাশ্যে মাধুরীর সঙ্গে তার সম্পর্ক স্বীকার করেন। কিন্তু সেইসময় ঘটে মুম্বাই হা’মলা। এই ঘটনার পর সঞ্জয় দত্তকে গ্রে’ফতার করে পুলিশ। সঞ্জয় দত্ত গ্রে’ফতার হওয়ার পর তার সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক শেষ করে দেন মাধুরী দীক্ষিত।
তিনি প্রকাশ্যে কখনও এই সম্পর্ক স্বীকার করেননি। মুম্বাই হা’মলার সময় জে’লে থাকাকালীন সঞ্জয় দত্ত পুলিশের কাছ থেকে একটি ফোন করার অনুমতি পায়। আর সেই ফোনটি তিনি করেন মাধুরী দীক্ষিতকে। যদিও ফোনটি ধরেন মাধুরীর মা এবং তিনি সঞ্জয়কে বলেন মাধুরী তার সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চায় না।
এই ঘটনাটি দেখানো হয় সঞ্জয় দত্তের জীবনের উপর ভিত্তি করে তৈরি একটি ‘ছবি ‘সঞ্জু’-তে। এরপর মাধুরী ১৯৯৯ সালে শ্রীরাম নেনে-কে বিয়ে করে আমেরিকা চলে যান। বিয়ের কয়েকবছর পর তিনি মুম্বাই ফিরে আসেন। ফের বলিউডে নিজের কাজকর্ম শুরু করেন।