বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে নির্বাচনী ডামাডোল। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে তিনটি আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। নির্বাচনে তার আগ্রহ অনেকটাই ওপেন সিক্রেট। যা আজ মনোনয়ন ফরম নেওয়ার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। এরপর সাকিবের একটি ফেসবুক পোস্ট ভাইরাল হয়। ২০১৩ সালে দেওয়া পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, “আমি আমার জীবনে রাজনীতি করব না।”
আজ (শনিবার) সন্ধ্যায় বিশ্বের সেরা এই অলরাউন্ডারের মনোনয়ন ফরম পাওয়ার খবর প্রকাশ হতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্টটি শেয়ার করছেন অনেকে। সেই পোস্টের কমেন্ট বক্সে কেউ সাকিবের সমালোচনা করেছেন। এর আগে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে শাকিবের পক্ষে ফরম সংগ্রহ করা হয়। আসনগুলো হলো- ঢাকা-১০, মাগুরা-১ ও ২।
মূলত মনোনয়ন ফরম নিয়ে সরাসরি রাজনীতিতে অংশ নেওয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছেন সাকিব। তার আগের বক্তব্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় অনেকেই বিষয়টি সামনে আনছেন। ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০.১৪ টায় একটি ফেসবুক পোস্টে, সাকিব লিখেছেন,আমি রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছি না এবং আমার জীবনে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার কোনো ইচ্ছাও নেই।
সে সময় বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের অনুরোধে একটি রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেন সাকিব। এরপর তার রাজনীতিতে যোগদান নিয়ে আলোচনা হয়। এরপর নিজের অবস্থান বোঝাতে ওই স্ট্যাটাস দেন সাকিব। কিন্তু এক যুগেরও বেশি সময় পর তাকে তার অবস্থান পরিবর্তন করতে দেখা গেছে।
ফেসবুক পোস্টে সাকিব আরও লিখেছেন, ‘আমাকে আমার অবস্থান পরিষ্কার করতে দিন। আমি রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছি না এবং আমার জীবনে রাজনীতিতে আসার কোনো ইচ্ছা নেই। আমি বোর্ড সভাপতির (পাপন) অনুরোধে ক্রিকেট দলের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম এবং সেখানে রাজনীতি নিয়ে একটি কথাও বলিনি। তাই সবাইকে বলবো- আমাদের মিডিয়াকে বিশ্বাস করবেন না। আমি আশা করি আমি আমার বক্তব্য পরিষ্কার করেছি।
এর আগে গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও সাকিব প্রার্থী হতে চান বলে গুঞ্জন উঠেছিল। সে সময় সাকিব না পারলেও আরেক সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা নির্বাচনে জয়ী হয়ে সংসদ সদস্য হন। এরপর অনেকদিন ধরেই শোরগোল ছিল যে শাকিবও নির্বাচনে যাবেন। এশিয়া কাপ চলাকালীন হঠাৎ করেই দল ছেড়ে দেশে ফিরে আসেন সাকিব। ওই সময় নির্বাচনী কাজেই সাকিব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন বলে আলোচনা রয়েছে!