কানাডার প্রধানমন্ত্রী, জাস্টিন ট্রুডো, যিনি স্বচ্ছ ভাবমূর্তির জন্য বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত। তবে গত কয়েকদিন ধরেই মিডিয়ার শিরোনামে রয়েছেন ট্রুডো। সম্প্রতি তার স্ত্রীর কাছ থেকে বিচ্ছেদ, ভারতে অনুষ্ঠিত G-20 সম্মেলনে যোগদান, তাকে বহনকারী বিশেষ বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সেখানে আটকে যাওয়া, খালিস্তানি ইস্যুতে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সাথে বিবাদ, কানাডায় ফিরে আসার পর শিখ নেতাকে হত্যার ঘটনায় দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এবং কানাডার পার্লামেন্টে একজন নাৎসি নেতাকে দাঁড়িয়ে সম্মান জানানোর জন্য ব্যাপক সমালোচনার সম্মুখীন হন। এই কারণে, ট্রুডোকে মিডিয়ার পাতা খুললে এক নজরে পড়েন।
এরই মধ্যে তাকে নিয়ে বিস্ফো”রক অভিযোগ করেছেন এক ভারতীয় কূটনীতিক। তিনি বলেন, জি-২০ সম্মেলনে ভারতে এসে কোকেনের নেশায় মত্ত ছিলেন ট্রুডো! শুধু তাই নয়, দিল্লি সফরের সময় বিমানে মাদ”ক ভর্তি বলেও দাবি করেন ভারতীয় এই কূটনীতিক।
সোমবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রুডো সম্পর্কে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন সুদানে অবস্থানরত ভারতের সাবেক রাষ্ট্রদূত দীপক ভোরা।
দীপক ভোরা বলেন, জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর বিমানে কোকেন বোঝাই ছিল। টানা দুই দিন নেশার কারণে ঘর থেকে বের হননি।
তিনি আরও বলেন, আমার স্ত্রী ট্রুডোকে দিল্লি বিমানবন্দরে দেখেছে। সে আমাকে জানায়, ট্রুডোকে তখন মানসিকভাবে চাপে রয়েছেন বলে মনে হয়েছে। আমরা এর কারণ জানি না। কিন্তু সোশাল মিডিয়ার খবর অনুযায়ী, ট্রুডোর বিমানে ভর্তি ছিল কোকেন। তিনি রাষ্ট্রপতি ভবনের ডিনারেও অংশ নেননি।
কেউ কেউ বলছেন মাদ”ক সেবনের কারণে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন।
এদিকে, ট্রুডো ভারতীয় কূটনীতিকের দাবি অস্বীকার করেছেন। তার কার্যালয় থেকে এক প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়, সম্পূর্ণ মিথ্যা বলা হচ্ছে। মিথ্যা তথ্য দিয়ে কীভাবে বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন প্রকাশ করা যায়, এটি তার একটি উদাহরণ।
দীপক ভোরা এমন সময়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন যখন ভারত-কানাডা সম্পর্ক খালিস্তানপন্থী শিখ নেতা হরদীপ সিংকে হ”ত্যার জন্য তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। গত ১৮ জুন, হরদীপ সিং কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় দুই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির গু”লিতে নিহ”ত হন। খবর ডেইলি মেইলের।