বাংলাদশের সাবেক রাষ্ট্র প্রধান ছিলেন জিয়াউর রহমান। একটা সময়ে তিনি পরিচালনা করেছেন বাংলাদেশকে। সম্প্রতি এ সব নিয়ে একটি বিশেষ লেখনী লিখেছেন বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান। পাঠকদের উদ্দেশ্যে তার সেই লেখনী তুলে ধরা হলো হুবহু :-
জিয়াউর রহমান নামের এক ভদ্রলোক এই রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পালন করে গেছেন কিছুকাল। তাঁকে গালি না দিলে আজ অনেকের পেটের ভাত হজম হয় না। তো, লোকটি অভাবনীয়, কল্পনাতীত ও দুঃসাহসী কিছু কাজ করে গেছেন। তিনি নিজেকে কখনো প্রগতিশীল বলে দাবি করেন নি। বরং এদেশে প্রগতির নিশানবরদার বলে বুক ফুলানো লোকগুলোকে অনেক বছর ধরে তাঁর উপর মহাখাপ্পাই দেখা যায়।
আজ একটা কথা সভয়ে বলি। এই বাংলাদেশে জিয়াউর রহমান তাঁর আমলে মেয়েদের আন্তঃস্কুল ফুটবল টুর্নামেন্ট প্রথম চালু করেছিলেন। সেই থেকে শুরু। মেয়েদের ফুটবল খেলাকে তখনকার প্রগতিশীল খবরের কাগজগুলোও একটু বাঁকা চোখে দেখতো। ‘প্রমীলা ফুটবল’ বলে উল্লেখ করতো। মহিলা পুলিস, মেয়ে ফুটবলার – এই বিষয়গুলো মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ এই রক্ষণশীল দেশে আরো পঁয়তাল্লিশ বছর আগে প্রবর্তনের কথা ভাবা যায়? কতটা দুঃসাহস!
সাফ ফুটবলে বাঙলার বাঘিনীদের গৌরবমণ্ডিত বিজয়ে সারা দেশ যখন আনন্দে ভাসছে, তখন আমার মনে পড়লো সাড়ে চার দশক আগের সেই বিষ্ময়মানবের কথা। বর্তমানকালে তাঁর অনুসারীদের এক বিরাট অংশের ভয়ঙ্কর রক্ষণশীলতা ও নারীবিদ্বেষ দেখে পরিপূর্ণ জিয়াউর রহমানকে তুলে ধরতেও এখন দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভুগতে হয়
এ দিকে তার এই কথার সাথে সম্প্রতি মিল রেখে বিএনপির আরেক সক্রিয় নেত্রী ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানাও ফেইসবুক এ দিয়েছেন একটি স্ট্যাটাস। সেই সাথে তারা দুজনেই সাফ জিতে আসা নারীই ফুটবল টীম কে জানায় অভিনন্দন।