বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের নাম প্রতিদিন নিলে বেহেশত নিশ্চিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কুমিল্লা দক্ষিণ জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক এবং চৌদ্দগ্রাম উপজেলা শাখার সভাপতি কামরুল হুদা।
বুধবার দুপুরে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে দেওয়া তাঁর এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে সমালোচনার ঝড় তুলেছে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে কামরুল হুদাকে বলতে শোনা যায়, “শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নাম প্রতিদিন নিলেই বেহেশত নিশ্চিত, আমি বিশ্বাস করি। কারণ তিনি কখনো দেশের জনগণের সঙ্গে হঠকারিতা করেননি।”
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে কামরুল হুদা বলেন, ‘শেখ সেলিম, শেখ হেলালসহ এ শেখ পরিবার লুট করে দেশটাকে শেষ করেছে, এ শেখ পরিবারে কেউ মুক্তিযোদ্ধা নন। যুদ্ধ না করেই আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দল হয় কি করে? ৯৬ সালের নির্বাচনের পর আবেদন করে আওয়ামী লীগের অনেকেই মুক্তিযোদ্ধা হয়েছেন। শেখ হাসিনা সাড়ে তিনশ’ মন্ত্রী-এমপি নিয়ে পালিয়েছেন।’
জামায়াতের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘একটা দল (জামায়াত) আমাদের সঙ্গে ছিল। তারা অতীতে আমাদের ওপর ভর করে ক্ষমতার স্বাদ পেয়েছিল। চৌদ্দগ্রামবাসী জানে তাদের ভোটের হার কত।’ আগামী নির্বাচনের সময় প্রতিটি কেন্দ্রের জন্য ২০০ করে ছোট লাঠি প্রস্তুত রাখতে নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দেন তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সভায় উপস্থিত একাধিক নেতা এ ধরনের বক্তব্যে বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, “কোনো মুসলিম কীভাবে এমন মন্তব্য করতে পারেন? এটি দলের প্রতি অতি আবেগের ফল।” ওই সভার পাশে একটি মসজিদ থাকায় জোহরের আজান মাইকের পরিবর্তে মুখে দেওয়ার নির্দেশনা এবং অনুষ্ঠান বন্ধ না করায় সমালোচনা আরও তীব্র হয়।
বক্তব্য নিয়ে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে কামরুল হুদা বলেন, “জিয়াউর রহমান মক্কায় হাজিদের সুবিধার্থে নিম গাছ লাগিয়েছিলেন। এ কারণে তাঁর নাম নিলে বেহেশতে যাওয়া যাবে। আমি কি ভুল বলেছি?”
এ বিষয়ে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক এমপি হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন বলেন, “আমি এখনো এই বক্তব্য শুনিনি। ভিডিও দেখে বিষয়টি যাচাই করব।”