বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী রেজাউল করিম বঙ্গবন্ধু হ”ত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। তিনি জিয়াউর রহমানের বিষয়ে বলেন, ৭১ সালের ঘটনার দিকে যদি বেশ ভালোভাবে খেয়াল করা হয়, তাহলে দেখা যাবে জিয়াই বঙ্গবন্ধুর আসল খু”নি।
সোমবার (২৯ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম (বওএএফ) আয়োজিত ‘রক্তাক্ত আগস্ট ও মায়ের কান্না’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রেজাউল করিম বলেন, “যখন কেউ সেনাবাহিনীতে অফিসার পদে র্যাংক পায়, তখন তাদের জীবন দিয়ে রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রপতিকে রক্ষা করার শপথ দেওয়া হয়। কিন্তু, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার কথা অফিসাররা যখন তাকে (জিয়াউর রহমান) জানাতে এলেন, তিনি বললেন গো-অ্যাহেড।’
প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হ”/ত্যার ৯ দিন পর জিয়া উপপ্রধান থেকে সেনাপ্রধান হন। তিনিই বঙ্গবন্ধুর খু”নিদের ব্যাংককে পালাতে সাহায্য করেছিলেন। তিনি সেখানে তাদের নগদ ডলার পাঠান। তিনি বঙ্গবন্ধুর খু”নিদের ১২টি হাইকমিশনে বিভিন্ন পদে চাকরি দেন।
বাংলাদেশে দুটি বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছিল ১৯৭১ সালে। দ্বিতীয় বড় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে ১৯৭৫ সালে। যখন বঙ্গবন্ধুকে হ/’ত্যা করা হয়।
আলোচনা সভায় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি (অব.) শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, জিয়া পাকিস্তান প্রেমিক ছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে হ”/ত্যার পর খু”নি জিয়া বুঝতে পেরেছিলেন, তার খু”নিদের বাঁচাতে না পারলে তারাও ধরা পড়বে। তাই তিনি খু/’নিদের বাঁচাতে ইনডেমনিটি অ্যাক্ট বাতিল করেন। জিয়া কখনই মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না।
উল্লেখ্য, ১৫ই আগস্ট জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে একদল বিপথগামী সেনা সদস্যরা যে ম/”র্মান্তি”ক হ’/ত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিলেন সেটা সুপরিকল্পিতভাবে হয়েছিল এবং সেখানে জিয়াউর রহমানের হাত ছিল বলেও অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগের নেতারা। জিয়াউর রহমান ঐদিন যেসব আচরণ করেছিলেন তা অনেকটাই স্পষ্ট করে যে তিনি সব কিছুই জানতেন।