দেশের অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক একটি দল ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’। ক্ষমতায় পদার্পনের পর থেকেই দেশ ও দেশের মানুষে উন্নয়নে রীতিমতো কাজ করে যাচ্ছে এই দলটি। আর এ দলটির অন্যতম একটি সংগঠন ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’। দলের পাশাপাশি নানা উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে ছাত্রলীগ। আর এদিকে আজ মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম সম্মেলনে যোগ দিয়ে বাংলাদেশের অনেক ‘বুদ্ধিজীবী’ সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে নেতা মেনে তাদের সঙ্গে জড়ো হয়ে সরকার উৎখাতের চেষ্টা করছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমাদের অনেক জ্ঞানীগুণী বিএনপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে তত্ত্ব কথা শুনায়, গণতন্ত্রের সবক দেয়, গণতন্ত্র উদ্ধার করতে চায়। আবার সেই আমাদের বুদ্ধিজীবী, এরা বুদ্ধিজীবী নিজেদের অনেকে বলে। আমি বলি বুদ্ধিজীবী, বুদ্ধি প্রতিবন্ধীজীবী। তারা আসলে বুদ্ধিজীবী না, বুদ্ধি প্রতিবন্ধীজীবী। তারা সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে নেতা মেনে তাদের সঙ্গে জড়ো হয় সরকার উৎখাতের জন্য।’
তিনি আরও বলেছিলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা খালেদা জিয়াকে উৎখাত করেছি, আমরা এরশাদকে উৎখাত করেছি, আমরা জিয়াকেও উৎখাত করতে পারতাম। কিন্তু আগেই মরে গেছে। ওখানে একটি দুঃখ যে ওর বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার আগেই অক্কা পেলো। নিজের লোকদের হাতেই মারা গেল।’
তিনি জিজ্ঞাসাবাদ করে বললেন, ‘যারা এই সমস্ত অপকর্ম করেছেন তাদের সাথে যোগ দিয়ে জনগণের অধিকার হরণ করার প্রচেষ্টা কেন? আওয়ামী লীগের অপরাধ কী? ‘
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠ নিয়ে সরকার গঠন করেছিল ৯৬ সালে যখন আমি সরকার গঠন করি, তখন ৪০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতি ছিল, স্বাক্ষরের হার ছিল মাত্র ৪৩ থেকে ৪৫ শতাংশ। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধিবেশনে সেশন জট, অস্ত্রের ঝনঝনানি, অস্ত্র আর গোলাবারুদের গন্ধ। দেশের অর্থনীতি একটি সম্পূর্ণ অতল গহ্বরের মধ্যে রয়েছে, রিজার্ভটি মাত্র ২.৫ বিলিয়ন ডলার। ২০০৯ সালে, আমরা রিজার্ভে মাত্র ৫ বিলিয়ন ডলার পেয়েছি। আমরা ৯৬ সালে খাদ্য ঘাটতি পূরণ করে বাংলাদেশকে খাবারে স্বাবলম্বী করে তুলেছিলাম।
তিনি বলেছিলেন, ‘২০০১ সালে বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি বারই ক্ষমতা শান্তিপূর্ণভাবে স্থানান্তরিত হয়েছিল। যখন আমরা ২০০১ সালে ৫ বছর শেষ করেছি, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা স্থানান্তর করেছি। এগুলি ছাড়াও কি কখনও বাংলাদেশে ক্ষমতার শান্তিপূর্ণ স্থানান্তর হয়েছে? হয়নি।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাবার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করে তাঁর বক্তব্য শুরু করেছিলেন, ৪ জন জাতীয় নেতা, শহীদ এবং মুক্তিযুদ্ধের শিকার হন।
এদিকে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে নানা ষড়যন্ত চালানো হচ্ছে বলে জানিয়ে নেতাকর্মীদের সজাগ থাকার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।