হিরো আলম বাংলাদেশের একজন ঝানু রাজনৈতিক নেতা না হলেও তাকে তার নির্বাচনী এলাকার মানুষেরা ব্যপকভাবে সমর্থন করেছেন, সেটা গতকাল বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে প্রতিফলিত হয়েছে। তিনি প্রথম দিকে ভোট গননার পর এগিয়ে ছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে পরাজয়ের সংবাদ মেনে নিতে হলো। আসন দুটিতে হেরে যাওয়ার পর ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমি সংসদ সদস্য হলে আমাকে স্যার ডাকতে হবে, এ জন্য কিছু শিক্ষিত মানুষ আগে থেকেই আমাকে মানতে পারছিল না। তারাই ফলাফল পরিবর্তন করে আমাকে পরাজিত করেছে।
এদিকে হিরো আলমের নির্বাচন নিয়ে মুখ খুললেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর। হিরো আলমের পেজে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় নূর বলেন, ‘হিরো আলমের নির্বাচন ঘিরে সর্বত্র শোরগোল শুরু হয়েছে। তিনি প্রত্যন্ত এলাকা থেকে উঠে আসা একজন মানুষ। তার উচ্চশিক্ষা নেই, তার বেশি টাকা নেই। বিভিন্ন ভাষায় গান গেয়েছেন এবং অভিনয় করেছেন। নানা কারণেই আলোচনায় রয়েছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘পত্র-পত্রিকার আপডেট অনুযায়ী আমরা দেখছিলাম হিরো আলম নির্বাচনে জয়ী হচ্ছেন। কিন্তু জিতে গিয়েও আবার দেখলাম, তিনি হেরে গেলেন।’
প্রসঙ্গত, বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে মশাল প্রতীকে নির্বাচন করে মহাজোটের প্রার্থী একেএম রেজাউল করিম তানসেন পেয়েছেন ২০ হাজার ৪০৫ ভোট। অপরদিকে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম একতারা প্রতীকে পেয়েছেন ১৯ হাজার ৫৭১ ভোট।
এছাড়া বগুড়া-৬ (সদর) আসনের নির্বাচনে জয় লাভ করেছেন রাগেবুল আহসান রিপু। তার কাছাকাছি ভোট পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্ধীতা করা আব্দুল মান্নান। এ আসনেও পরাজয় মেনে নিতে হয়েছে হিরো আলমকে। তবে হিরো আলম একটা প্রশ্নই করছেন আর সেটা হলো, আমার এত ভোট কোথায় গেল।