জাতীয় পার্টি কল গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে সরে যাতে হচ্ছে রওশন এরশাদকে এই ঘটনা প্রকশিত হওয়ার পর সারাদেশের চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। রওশন এরশাদ বিদেশে চিকিৎাসিধীন অবস্থায় তিনি জিএম কাদেরকে পদ থেকে সরিয়ের দেওয়র জন্য কাউন্সিল বসারনোর সিন্ধান্ত নিয়েছিলে তবে বর্তমানে ঘটনা হয়ে গেল উল্টো।
জাতীয় পার্টিতে নতুন ঝড়। কাউন্সিল আহ্বানের কারণে সংসদে বিরোধী দলীয় নেতার পদ হারাচ্ছেন রওশন এরশাদ। দলের গুরুত্বপূর্ণ সব পদ থেকে তাকে প্রত্যাহার করতে হবে।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, রওশন এরশাদ দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে এখতিয়ারের বাইরে কাজ করেছেন। কিন্তু মুখ আবার কিসের?
রাজনীতি এমন একটি ক্ষেত্র, যা আপনাকে একটি করে তোলে, তারপরে আরেকটি। তাই একই পরিবারের দুই আত্মীয় কখনো কখনো দুই দুয়ারী হতে পারে। সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের রাজনৈতিক উত্তরাধিকার তার স্ত্রী রওশন এরশাদ ও ছোট ভাই জিএম কাদেরের কাছেও একই। জাতীয় পার্টির নেতৃত্বে কখনো একজন, কখনো দুইজন।
রওশন এরশাদকে ঘিরে সম্প্রতি জাতীয় পার্টিতে নতুন তৎপরতা শুরু হয়েছে, যিনি বয়সজনিত অসুস্থতার কারণে ব্যাংককে চেক করা হচ্ছে। দলীয় কাউন্সিলকে সামনে রেখে তিনি ১৫ সদস্যের কমিটি দেন। তিন পৃষ্ঠার প্রজ্ঞাপনে তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির সাংবিধানিক ক্ষমতাবলে সম্মেলন আহ্বান করা হয়েছে। এদিকে জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্রে কোথাও প্রধান পৃষ্ঠপোষককে এ ধরনের ক্ষমতা দেওয়া হয়নি বলে দাবি করেন জিএম কাদের।
যদিও তিনি বলেছেন যে রওশন এরশাদকে তার বয়স এবং শারীরিক অসুস্থতার কথা বিবেচনা করে দল অসম্মান করবে না, তবে রওশন এরশাদকে সব গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে বঞ্চিত করা হবে। জাতীয় পার্টিতে কোনো ভাঙনের আশঙ্কা নেই জাটা চেয়ারম্যান, তিনি দাবি করেন কোনো বিভক্তি নেই। অভিযোগটি তৃতীয় পক্ষের বিরুদ্ধে। তিনি বলেছেন, জাতীয় পার্টিও নির্বাচনের আগে জোটে থাকবে, তবে জামায়াতের সঙ্গে নয়। জিএম কাদের বরাবরই দাবি করে আসছেন, জনগণ বিএনপি ও আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে জাতীয় পার্টিকে ক্ষমতায় দেখতে চায়।
উল্লেখ্য, এসকল বিষয় নিয়ে যখন জল ঘোলা হয়েছে ওই মূহুর্তে দলীয় নেতাদের সমূূখে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বিদিশা সিদ্দিক জিএম কাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি যে রওশন এরসাদকে নিয়ে মন্তব্য করছে এটা কোন ভাবেই আপনার মুখে সোভা পায় না। এছাড়া জিএম কাদেরকে দল থেকে বের করে দেওয়া হবে সেটা সুধু মাত্র সময়ের অপেক্ষা বলেও মন্তব্য করেন বিদিশা সিদ্দিক।