বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বাংলার একজন বীর সন্তান। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তার অপরিসীম অবদানের জন্য তাকে দেওয়া হয়েছে বীর উত্তম উপাধী। তিনি দেশকে পাক হানাদার বাহিনীর কাছ থকে ছিনিয়ে আনার জন্য লড়াই করেছেন। তার অবদান বাংলার মানউস কখনো ভুলতে পারবেনা। সম্প্রতি তিনি তার এক বক্তব্যে বলেছেন তিনি জায়াগায় বসেই ইভিএমের ৩০ ভুল ধরিয়ে দিতে পারবেন।
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বললেন এখানে বসেই ইভিএমের ৩০ টি ভূল ধরিয়ে দিবো।
ইভিএমে ভুল ধরিয়ে দিলে ১০ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা প্রসঙ্গে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, কমিশনের পদে থেকে এই ধরনের বক্তব্য দেওয়া ঠিক নয়। বুধবার নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আগের সিইসির মতো আপনাকেও আমি ক’দিন যাবত দেখছি, আপনি কথাবার্তায় ভাসছেন,বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে নির্বাচন নষ্ট হবে, গণতন্ত্র নষ্ট হবে, এই ধরনের কিছু কথা শুনতে পাচ্ছি।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমরা বলবো, এইখানে বিএনপি কিছু না, আওয়ামী লীগও কিছু না, এখানে সবকিছু হচ্ছে জনগণ এবং দেশের ভোটার। যদি ৬৫-৭০ শতাংশ ভোটার ভোট দিতে যায় এবং ভোট দেয়, তাহলে আপনার চাইতে চমৎকার নির্বাচন কমিশন আর হতে পারে না। সেজন্য নির্বিবাধে ভোটারদের ভোটে অংশগ্রহণ প্রয়োজন। যেটা যথার্থ বলেছেন, মানুষের উৎসাহ কমে গেছে। সেটা আপনাদের নিশ্চিত করতে হবে, ভোট যেন দেয় তা নিশ্চিত করতে হবে, ভোটাররা উৎসাহ পায় সে ব্যবস্থাও করতে হবে। বাধা অনেক আছে, প্রতিবন্ধকতা অনেক আছে। কিন্তু ঘোরতর কঠিন কোনো কাজ মোটেই নয়।
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বরাদ্দ করার জন্য ইসির আমন্ত্রণে সাড়া না দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আপনার সাথে আমাদের রাজনীতিও হয়েছে, আলোচনা করা হয়নি। আপনার কাছে আসলাম, নারী দেখলাম, গভীর আলোচনা, এটা আমাদের কাছে ঠিক সুন্দর মনে হয়েছে। তাই আমরা সেখানেও (ইভিএম নিয়ে এর সংলাপে) অংশগ্রহণ করি।
তিনি বলেন, গত নির্বাচন কমিশন সমস্ত দেশকে ডুবিয়েছে। তার আগের জনও তাই করেছেন। তার আগের জনও কম বেশি তাই করেছেন। আমার দেখা মতে, আবু হেনার মতো শক্তিশালী মেরুদণ্ডওয়ালা নির্বাচন কমিশনার দ্বিতীয় কেউ হননি।
নীতির সঙ্গে কখনো বিরোধী হলে সিইসিকে পদত্যাগ করার পরামর্শও দেন কাদের সিদ্দিকী। তিনি বলেন, এতে আপনি মাথার মনি হয়ে থাকবেন। দায়িত্ব পালন করা হচ্ছে পৌরুষের লক্ষণ, মানুষের লক্ষণ। এছাড়া দলগুলোর জন্য যত দরজা খোলা রাখবেন তত মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবেন। পানি ছাড়া যেমন মাছ বাঁচে না, তেমনি রাজনৈতিক দল ছাড়া ইসির কোনো অস্তিত্ব নেই। কোনো ভুলের জন্য ছাগলের খুঁটি ধরে থাকবেন না। ভুল বুঝতে পারলে স্বীকার করবেন, দেখবেন আপনার মর্যাদা বাড়ছে, ক্ষমতা বাড়ছে, আল্লাহও খুশি হচ্ছেন। আল্লাহ খুশি না হলে আপনি সম্মান পাবেন না।
কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, আইন বলেন, তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া নির্বাচন না। নির্বাচনের সময় সরকার কে? আমাকে যদি দাম দেন, আমি বলবো তফসিল চালু করার পর সরকার কে? তিনি সীমান্ত, প্রকাশ তিনি বলেন। কিন্তু আমি নির্বাচন করি নির্বাচনই নির্বাচন, মনে করাই বক্তব্য। কিন্তু আপনি সেই ক্ষমতার ব্যবহার করতে পারবেন না, ভোটার মেরুদণ্ডের কথা। ব্যবহারকারী তার গেট বের করতে হবে না, প্রকাশও ইসিকে প্রকাশ করতে হবে।
সংলাপে অন্যদের মধ্যে চার নির্বাচন কমিশনার, ইসির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও কৃষক জনতা কর্মরত অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ স্বাধীন করতে গিয়ে শহীদ হয়েছে লাখ লাখ মানুষ। তাদের জীবনের বিনিময়েই বাংলাদেশ আজ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীভলেন বাংলাদেশের গর্ব। তার মত হাজারো দেশপ্রমিক সন্তান রয়েছে এ দেশের মাটিতে।