বর্তমানে প্রেমের টানে বাংলাদেশে প্রায় প্রেমিক-প্রেমিকার ছুটে আসার ঘটনা ঘটতে দেখা যাচ্ছে, যা বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে উঠে আসছে। প্রেম এমন একটি বিষয় যা বাধা মানে না দূরত্বের। কারণ প্রেমের কারনে যেকোনো কিছু করতে পারে প্রেমিক-প্রেমিকা। এবার এক মালয়েশিয়ান তরুণী প্রেমের টানে ছুটে এলেন বাংলাদেশে, করলেন প্রেমিককে বিয়ে।
প্রেমে পড়ে বাংলাদেশি যুবককে বিয়ে করেছেন মালয়েশিয়ার এক তরুণী। বাংলাদেশি যুবক গাজীপুর মহানগরীর জোলারপাড় এলাকার বাসিন্দা। শুক্রবার (২২ জুলাই) স্থানীয় একটি মসজিদে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের আগে জমকালো আয়োজনে তাদের গায়ে হলুদ দেওয়া হয়। বাঙালি বধূর সাজে সেজেছিলেন মালয়েশিয়ান তরুণী।
ওই বাংলাদেশি যুবকের নাম জাহাঙ্গীর আলম। তিনি গাজীপুর শহরের কাউলতিয়ার জোলারপাড় এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে। মালয়েশিয়ান তরুণীর নাম নুরকারমিলা বিনতে হামিদ। তিনি মালয়েশিয়ার কামপুং কেলেওয়াক এলাকার বাসিন্দা।
বর জাহাঙ্গীর আলম জানান, ১০ বছর আগে তিনি জীবিকার তাগিদে মালয়েশিয়া যান। সেখানে তিনি লিঙ্কন বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি পান। তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট কাউন্সিলর নূর কারমিলা বিনতে হামিদের সঙ্গে দেখা হয়। নূর কারমিলা মালয়েশিয়ার মুসলিম পরিবারের মেয়ে। পরে তারা একে অপরের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া রোগের প্রাদূর্ভাবের আগে দেশে এসেছিলেন জাহাঙ্গীর। পরে রোগটির বিস্তারের কারণে মালয়েশিয়া যাওয়া হয়নি তার। তারপরও দুজনের মধ্যে যোগাযোগ অব্যাহত ছিল। ১৮ জুলাই বাংলাদেশে আসেন নূর কারমিলা। পরে তারা বিয়ে করেন।
জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, ‘দুই পরিবারের সম্মতিতে গায়ে হলুদসহ নানা আয়োজনে শুক্রবার স্থানীয় একটি মসজিদে বিয়ে হয়। এখন দুজনে একসঙ্গে ভালো সময় কাটাচ্ছেন। কিছুদিন পর আমরা মালয়েশিয়া চলে যাবো। আপাতত তাকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরছি।
জাহাঙ্গীর খুব ভালো ছেলে বলে মন্তব্য করেন স্ত্রী নূর করমিলা। তিনি বলেন, একসঙ্গে কাজ করার কারণে তাদের মধ্যে পরিচিতি, বন্ধুত্ব ও ভালোবাসা রয়েছে। শুধু বেস্ট ফ্রেন্ড না ভেবে, জাহাঙ্গীরকে জীবনসঙ্গী করতে বাংলাদেশে ছুটে এসেছেন।
মালয়েশিয়ার তরুণীর আগমনের খবরে স্থানীয়সহ আশপাশের উৎসুক জনতা জাহাঙ্গীরের বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন।
মালয়েশিয়ান তরুণীকে দেখতে ঐ এলাকার স্থানীয়রা তাদের বাড়িতে ভিড় জমাতে শুরু করে। তারা সবাই এ দম্পতির জন্য দোয়া করছেন। সেইসাথে অনেকে নানা ধরনের উপহার সামগ্রী নিয়ে আসছেন। জাহাঙ্গীরের স্ত্রী নূর করমিলা জানিয়েছেন, জাহাঙ্গীরকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেয়ে তিনি অনেক খুশি। তারা একসাথে মালয়েশিয়ায় ফিরে গিয়ে পূনরায় কর্মক্ষেত্রের যোগদান করবেন।