দেশে চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে প্রায় সময়ই বিভিন্ন ধরনের আপত্তিকর খবর পাওয়া যাচ্ছে। অনেক জায়গায় দেখা যাচ্ছে সহিংসতায় অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে শক্তিশালীদের কেন্দ্রো দখলদারিত্বের মতো ঘটনা। সম্প্রতি একটি কেন্দ্রে দখলদারদের পুলিশি সহায়তা খবর পাওয়া গেছে। সেখান থেকে সাংবাদিকদের তাড়িয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে যাতে তারা সংবাদ বাইরে প্রকাশ করতে না পারে। এমনকি হুমকিও দিয়েছেন সেই এসআই সাংবাদিকদের তুলে নিয়ে যাওয়ার।
চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠিতব্য কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের জগন্নাথদিঘি ইউনিয়নের একটি ভোটকেন্দ্র থেকে সাংবাদিকদের বের হয়ে যেতে নির্দেশ দেন পুলিশের এক উপপরিদর্শক (এসআই)। এক পর্যায়ে তিনি বলেন, কেন্দ্র না ছাড়লে সাংবাদিকদের আটক করা হবে।
রোববার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ভোটগ্রহণ চলাকালে জগন্নাথদিঘি ইউনিয়নের গাংরা আনেয়ারুল উলুম মাদ্রাসা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত ওই এসআইয়ের নাম চিরঞ্জীব বড়ুয়া। তিনি কুমিল্লা কোতোয়ালি থানায় কর্মরত রয়েছেন বলে জানা গেছে।
ওই কেন্দ্রে থাকা কুমিল্লার অন্তত তিনজন সাংবাদিক জানান, সকাল ৯টার দিকে কেন্দ্রে বিভিন্ন অনিয়মের মধ্যে ভোটগ্রহণ চলছে। এ সময় একাধিক পুরুষ ও নারী প্রার্থী কেন্দ্রে পুলিশের সহযোগিতায় জালভোট চলছে বলে অভিযোগ করেন। এমন সময়ে এসআই চিরঞ্জীব সাংবাদিকদের দিকে তেড়ে এসে সব সাংবাদিককে কেন্দ্র ছাড়তে বলেন। এসময় সাংবাদিকরা বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছি, আপনার কথায় কেন্দ্র ছাড়বো কেন? আর সাংবাদিকরা কেন্দ্রে থাকলে আপনার সমস্যা কী? এরপর অভিযুক্ত ওই এসআই তার সঙ্গীও ফোর্সদের ডেকে বলেন- সাংবাদিকদের আটক করো। পরে বিষয়টি কুমিল্লার পুলিশ সুপারকে জানালে তিনি এসআই চিরঞ্জীবকে শান্ত করেন।
এ সময় এসআই চিরঞ্জীব বলে ওঠেন, আমি এসপি সাহেবের ডিউটি করছি, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মানার সময় নেই। এছাড়া সাংবাদিকদের অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার মো.ফারুক আহমেদ বলেন, এখন ভোটগ্রহণ চলছে। ভোটগ্রহণের পরে বিষয়টি দেখবো।
এ বিষয়ে কুমিল্লা জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো.মঞ্জুরুল আলম বলেন, আজকে তিনি (এসআই) নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছেন। দায়িত্বে থেকে তার এমন কথা বলার কোন সুযোগ নেই। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।
সাংবাদিকের কাজ সঠিক সংবাদ সংগ্রহ করা এবং সেগুলো প্রচার করা। কিন্তু আজ তাদেরকেই বাধা দেওয়া হচ্ছে। এ কেমন আইন? ঘটনাটি আসলেই সংবাদমাধ্যমের জন্য বিব্রতকর। জেলা পউলিশ সুপার বলেছেন এ ব্যাপারে তিনি দেখবেন ভোট গ্রহণের পর। তবে ভোটগ্রহণের পর দেখে কি লাভ যদি ভোটেই চলে অনিয়ম!