জ্ঞাত আয়ের বাইরে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর ওরফে পাপিয়াকে হাইকোর্টে দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করেছে দুদক। .
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) আপিল বিভাগে এ আবেদন করে সংগঠনটি।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, আগামী রোববার (৫ নভেম্বর) আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে আবেদনের শুনানি হতে পারে। এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের পর্যায়ে তাকে জামিন দেওয়া ঠিক হয়নি বলে আমরা মনে করি।
এর আগে গত বুধবার (১ নভেম্বর) ওই মামলায় নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ পাপিয়াকে ৬ মাসের জামিন দেন বিচারপতি।
উল্লেখ্য, জ্ঞাত আয়ের বাইরে ৬ কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০২০ সালের ৪ আগস্ট যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক শাহীন আরা মমতাজ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ছয় কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার টাকার সম্পদ তাদের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত অবৈধ উপায়ে অর্জিত বলে প্রতীয়মান হওয়ায় এবং জ্ঞাতসারে অপরাধলব্ধ আয়ের মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ তাদের ভোগ দখলে রেখে অভিযুক্ত শামীমা নূর পাপিয়া এবং তার স্বামী মফিজুর রহমান দুর্নীতি দমন কমিশন আইন’ ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। তাই এই মামলাটি দায়ের করা হয়।
১৩ অক্টোবর, ২০১৯ থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ পর্যন্ত, পাপিয়া প্রায় ৩.৫ কোটি টাকার বিল নিয়ে ওয়েস্টিন হোটেলে আসেন। তিনি ওয়েস্টিনে ১১জনের সাথে নিয়মিত বসবাস করতেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে পাপিয়ার ৮৮ জোড়া জুতা উদ্ধার করা হয়েছে।
২২শে ফেব্রুয়ারি,২০২০, র্যাব জাল টাকা বহন এবং অবৈধ অর্থ পাচারের অভিযোগে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পাপিয়াসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে। বাকিরা হলেন- পাপিয়ার স্বামী মফিজুর রহমান, সাব্বির খন্দকার ও শেখ তৈয়বা।
এরপর ২৩ ফেব্রুয়ারি পাপিয়ার বাসায় অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, ২০ রাউন্ড গুলি, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, পাঁচটি পাসপোর্ট, তিনটি চেক, বেশ কিছু বৈদেশিক মুদ্রা ও বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি এটিএম কার্ড উদ্ধার করা হয়।