দীর্ঘ দিন ক্ষমতার বাহিরে থাকায় সাংগঠনিকে ভাবে অনেকটা দুর্বলা হয়েছে পড়েছে বিএনপি এমনটা ধারনা করা হয়। তবে মুক্তিযোদ্ধার স্বপক্ষের দল হিসেবে দাবি করে আওয়ামীলীগ সে সুযোগটা তারা কাজে লাগিয়েছে যুদ্ধাপরাধী বিচারের ক্ষেত্রে। কারন জামায়াতে শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের বিচার মাধ্যমে তাদের দলকে এক প্রকার শেষ করা হয়েছে। এখন বিএনপির জোট ছেড়ে গেলে জামায়াত লাভবান হবে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ। এ প্রসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন পিনাকী ভট্টাচার্য পাঠকদের জন্য তা হুবাহু তুলে ধরা হল নিচে।
জামায়াত বিএনপি জোট ছেড়ে দিয়েছে। এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। কিন্তু কেন এটা ঘটলো? সেটা সবচেয়ে ভালো বলতে পারবে জামায়াত। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে, কেউই তো ঠিক আসল ঘটনা বলে না, তাই আমাদের অনুমান করতে হয়। তবে জামায়াত বিএনপি ঐক্য কেন হয়েছিলো আর এই ঐক্য নষ্ট করার কার খায়েশ ছিলো সেটা না বুঝলে আমরা অনুমান ও করতে পারবো না ঠিক কেন এই ঐক্যটা ভাঙ্গলো।
জামায়াত না আসল সমস্যা হচ্ছে ইসলামের নাম নিয়ে রাজনীতি। এটা আসলে সমস্যা ইন্ডিয়ার। ইন্ডিয়া ইসলামের নামে কোন রাজনীতির স্পেইস বাংলাদেশে থাকুক সেটা চায়না। এই চাওয়াটাই বাংলাদেশকে অশান্ত করে রেখেছে। এই ইন্ডিয়ান চাওয়াটাই আসলে বাংলাদেশের তথাকথিত প্রগতিশীল স্যেকুলার রাজনীতি। অথচ দেখেন লিবারাল আধুনিক রাজনীতির রীতি অনুসারে কোন একটা দল যদি শান্তিপূর্ণ রাজনীতি করতে চায় ভোটের রাজনীতি করতে চায় তাহলে তো তাকে স্পেইস দিতে হবে। এই লিবারাল স্পেইসটা তারা ইসলামী রাজনীতিকে দিতে চায়না। তো এইযে স্পেইস দিতে না চাওয়াটা সেটা কীভাবে জাস্টিফাই করবে? এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন।
এই জাস্টিফিকেশানটা নেবে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকে আশ্রয় করে, এই বলে যে জামায়াত মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিলো। কথা সত্য জামায়াত এটা অস্বীকারও করেনা। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা দিলীপ বড়ুয়াও করছিলো। ইন ফ্যাক্ট চাইনিজ বামদের একটা বড় অংশ মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করছিলো। তাহলে দিলীপ বড়ুয়া সহ চাইনিজ বামেরা কোন সাফাইয়ে রাজনীতি করে? এর কোন উত্তর নাই। তাই জামায়াতের রাজনীতির অধিকার নাই এই বয়ান আওয়ামী লীগ দাড় করাতে পারেনি।
প্রসঙ্গত, প্রকৃত বিষয় হচ্ছে জামায়াত রাজনীতি করলে ভিন্ন এক চাপের মুখে থাকে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ কারন অন্য একটি দেশ চায় না তারা রাজনীতি করুক মূখ্য বিষয় এটি বলে মন্তব্য করেনে পিনাকী ভট্টাচার্য। বিএনপি জোট ছাড়লে জামায়াত কতটা প্রভাব পড়বে রাজনীতি এটাই দেখার বিষয়।