বিএনপি জামায়াতের নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট তাদের ছেড়ে চলে গেছে এমন খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর গণমাধ্যমে তুমুল সমালোচনার সৃষ্টি। অনেকের ধারনা বিএনপি আর জামায়ে আলাদা হয়ে যাবে। এ বিষয়ে সম্পূর্ণ তথ্য পেত অনেক উৎসুক জনতা গণমাধ্যমে করা সেই পোষ্টের মন্তব্যে জানতে চেয়েছে। এবার এ বিষয় নিয়ে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর কাছে সংবাদ মাধ্যমের এক কর্মী প্রশ্ন করলে তিনি ওই সংবাদ মাধ্যমের কর্মীকে এক ভিন্ন ধরনের মন্তব্য তুলে ধরেন।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ওই সংবাদ কর্মীকে বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত ঐক্যবদ্ধ থাকবে নাকি বিভক্ত হবে সেটা তাদের ব্যাপার। দেশের মানুষ ভালো আছে কি না, দেশের মানুষ তাদের ভোটের অধিকার সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারছে কিনা সেটাই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমি চাই দেশের মানুষ শান্তিতে থাকুক।
মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বাহাদুরপুরে হাজী শরীয়তুল্লাহ (রহ.) এর কবর জিয়ারত করে ফেরার পথে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আগামী নির্বাচনে আপনার দলের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, আগামী নির্বাচন নিয়ে কথা বলার সময় এখনো আসেনি। সময় হলেই জানতে পারবেন। আমার দল দেশ ও জনগণের সঙ্গে আছে। দেশের কল্যাণে রাজনীতি করি। দেশ ও জাতির কল্যাণে সব সময় কাজ করেছি, ভবিষ্যতেও করে যাবো।
শিবচরে আসার উদ্দেশ্য জানতে চাইলে কাদের সিদ্দিকী বলেন, মূলত আমি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর কবর জিয়ারত ও শ্রদ্ধা জানাতে যাচ্ছিলাম। যেহেতু শিবচর হাজী শরীয়তুল্লাহর (রহ.) মাজার, তাই একজন নেতা। বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন ও ফরাজি আন্দোলনের এই মহান মানুষটির কবর জিয়ারত করলাম।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক বীরপ্রতীক হাবিবুর রহমান তালুকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেনসহ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা।
অন্যদিকে অনেক আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনা জামায়েত বিনেপির সমনয়ে গঠিত বলে দাবি করে তাদের বয়কটের আহ্বান জানিয়েছেন দেশবাসীর কাছে। এছাড়া আগামী জাতীয় সংসদ নির্বচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর কাছে ওই সংবাদকর্মী জানতে চাইলে তিনি কোন মন্তব্য করেনি প্রশ্নটি এড়িয়ে যান তিনি।