রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। রোববার (১৯ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ৫ সদস্যের আপিল বেঞ্চ জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের রায় দেন।
এর আগে রোববার সকালে জামায়াতের আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলীর জুনিয়র জিয়াউর রহমান নিবান্ধনের শুনানির জন্য আপিল বিভাগে ৬ সপ্তাহ সময় চাওয়ায় আইনজীবীরা হরতালে আসতে পারেননি। তবে আপিল বিভাগ সময় চেয়ে আবেদন খারিজ করে দেন।
গত সপ্তাহেও (১২ নভেম্বর) আপিল বিভাগে সময় চাওয়ার পর এক সপ্তাহ সময় দেন সুপ্রিম কোর্ট। জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে আদালতের কাছে ৮ সপ্তাহ সময় চেয়েছেন।
জামায়াতের সাবেক সংসদ সদস্য, মুক্তিযোদ্ধাসহ জামায়াতের ৪৭ সমর্থক গত ১ আগস্ট নির্বাচন কমিশনের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে দল হিসেবে নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় তাদের পক্ষে এ আবেদন করেন অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড জয়নাল আবেদীন।
পরে জামায়াতের লিগ্যাল প্যানেলের সদস্য অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ সাংবাদিকদের বলেন, জামায়াতের নিবন্ধন নিয়ে আপিল বিভাগে বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য ৪৭ জন বিশিষ্ট নাগরিক আবেদন করেছেন।
আবেদনকারীদের মধ্যে জামায়াতের সাবেক সংসদ সদস্য মো. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোঃ তাহের, হামিদুর রহমান আজাদ, হাফেজা আসমা খাতুন, মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. এম উমর আলী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আব্দুর রবসহ তিনজন বীর মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন।
অন্যদিকে, হাইকোর্টের নিবন্ধন বাতিলের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি না দেওয়া পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ, জনসভা বা মিছিল নিষিদ্ধ করার আবেদনে অংশ নিতে চান ৪২ জন বিশিষ্ট নাগরিক। বিভাজন মীমাংসা হয়। তারা শহীদ মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা, লেখক, শিক্ষাবিদ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্য। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মামলার আইনজীবী ব্যারিস্টার তানিয়া আমির।