সারা দেশের জেলা গুলোতে চলছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সেই সাথে অনেক পৌরসভা নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আর এই নির্বাচনে বিভিন্ন ধরনের ব্যতিক্রমী খবর শোনা যাচ্ছে। তবে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের বিষয়ে সবচেয়ে বেশি খবর আসছে বিভিন্ন গনমাধ্যমে। ইউপি নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় এবার পঞ্চগড় জেলায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আর এই তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে জামায়াতের প্রার্থীর পক্ষ নিয়ে ভোট চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি উসমান আলী বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় তাকে আ.লীগ হতে বহিষ্কারের দাবিতে ঝাড়ু মি’ছিল করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
গতকাল (শুক্রবার) অর্থাৎ ৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যার দিকে পঞ্চগড়ের হাড়িভাসা ইউনিয়ন বাজারে তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও ঝাড়ু মি’ছিল করেন নেতাকর্মীরা।
জানা যায়, দলীয় সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে গত ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়া তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী মনির হোসেনের বিপক্ষে কাজ করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি উসমান আলী। তিনি জামাতের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ সায়েদ নুরে আলমের (অটোরিকশা প্রতীক) পক্ষে কাজ করেন। এই অভিযোগে তাকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবিতে স্থানীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা ঝাড়ু মিছি’ল করেন। মি’ছিলে ইউনিয়নের প্রায় ১ হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থকরা অংশ নেন।
ঝাড়ু মি’ছিলে বিক্ষো’ভকারীরা বলেন, হাড়িভাসা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি উসমান আলী জামাতের লোক স্বতন্ত্র প্রার্থীর হয়ে নির্বাচন করেন। যার কারণে দলের নাম ক্ষুণ্নসহ গত ২৮ নভেম্বর দলীয় মনোনীত নৌকার প্রার্থী মনির হোসেন হেরে যান। যেহেতু তিনি দলের সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে বিপক্ষ পার্টির নির্বাচন করেছেন তাই তাকে তার পদবী থেকে বহিষ্কার করতে হবে। অতিদ্রুত তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা না হলে আগামীতে কঠোর আ’ন্দোলনের হুঁশি’য়ারিও দেন বক্তারা।
এদিকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন অভিযোগ করে দেশের একটি গনমাধ্যমকে বলেন, এবারের নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রিয় দল তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে আমাকে নৌকা প্রতীক দেয়। এই নির্বাচনে আমরা সুন্দরভাবে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছিলাম।
তিনি আরো বলেন, উসমান আলী এই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্ত না মেনে জামায়াতের পক্ষে কাজ করতে শুরু করেছেন। আমরা দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছি, কিন্তু তিনি দলের বিপক্ষে কাজ করতে শুরু করে দলকে ডুবিয়ে দিতে চাইছেন। তার এই ধরনের জামায়াত পক্ষ নিয়ে কাজ করে দলের সুনাম ক্ষুন্ন করেছেন। আমরা অবিলম্বে সভাপতি উসমান আলীকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানাই।
গেল ২৮ নভেম্বরের নির্বাচনে মোহাম্মদ সাঈদ নূর আলম অটোরিকশা প্রতীক নিয়ে হাড়িভাসা ইউনিয়নে নির্বাচন অংশ নিয়ে ৫৯৪৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। আর অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মনির হোসেন নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ে ৪৪৩৬ ভোট পেয়েছিলেন।