জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে সাম্প্রতিক ঘটে গিয়েছে এক অনাকাঙ্খিত কাণ্ড। বাংলাদেশের একটি জাতীয় সংবাদ মাধ্যম দ্বারা জানা যায়, দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক করে এক তরুণী আরেক তরুনীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে। যে ঘটনা নিয়ে সারা এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনা সুত্রে জানা যায়, দুই মেয়ের বিয়ের ঘটনায় তাদের ও দুই সহযোগীকে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। দুই কিশোরীর সমকামী বিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। উপজেলার দোয়েল ইউনিয়নের হাটবাড়ী গ্রামে দুই মেয়ের মধ্যে বিয়ের ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ধৌইল হাটবাড়ী গ্রামের দুদু মিয়ার মেয়ে মিম আক্তার আদুরী (১৫) এবং টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ী উপজেলার পাঁচখালী গ্রামের রইজ আলীর মেয়ে আরিয়ান ইসলাম মিম (১৫) কুঠিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী। তিন বছর আগে ফে/ সবুকের মাধ্যমে তাদের পরিচয় হয়। তারা দুজনই দশম শ্রেণীর ছাত্র। ফলে তাদের দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
এ অবস্থায় তিন দিন আগে ঢাকায় রওনা দেন তারা। সেখানে গিয়ে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতি লিখে দেন। পরে তাদের পরিবারের সদস্যরা খবর পেয়ে ঢাকার মহাখালী দোয়েলের হাটবাড়ি থেকে তাদের বাড়িতে নিয়ে আসে। সঙ্গে তাদের দুই সহযোগী আয়াত আক্তার (১৭) ও রফিক ইসলাম (১৯) নামে দুই আনা হয়। পরে বুধবার সকালে দোয়েল ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয়রা এ সালিশ করেন। শালিসে ওইসব মেয়েদের কথাবার্তা দেখে তাদের সমকামী বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। পরে স্থানীয়রা তাদের পুলিশে সোপর্দ করে। এদিকে ২১শে সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুরে মেয়ে দুটিকে দেখতে সরিষাবাড়ী উপজেলার হাটবাড়ী গ্রামের দুদু মিয়ার বাড়িতে হাজার হাজার নারী-পুরুষ ভিড় জমায়।
মিম আক্তার আদুরীর বাবা দুদু মিয়া জানান, অপর মেয়েটি তার মেয়ের বান্ধবী। মাঝে মাঝে এখানে বেড়াতে যেতেন। তিন দিন আগে অন্য মেয়েকে অপহরণ করে মহাখালীতে নিয়ে যায়। তবে মিদুম আক্তার আরি ও আরিয়ান ইসলাম মিম বলছেন ভিন্ন কথা। তারা স্পষ্ট করে দেয় যে তারা একে অপরকে খুব ভালবাসে। তাই তারা বিয়ে করেছে। ৩ বছর আগে তাদের মধ্যে সম্পর্ক হয়। দুজনেরই সম্মতিতে বিয়ে হয়। তারা একে অপরকে ছেড়ে যেতে পারে না।
দোয়েল ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক স্বপন বলেন কিভাবে মেয়ের সাথে মেয়ের বিয়ে হয়। এটা সত্যিই একটি জঘন্য ঘটনা। এসব মেয়েদের সাথে আলোচনা করলে ব্যাপারটা বিভ্রান্তিকর মনে হয়। তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ সময় তাদের অপর দুই নারী সহযোগী রফিক মিয়ার মেয়ে রফিক মিয়ার বান্ধবী রাফিন ইসলাম সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডে পুরান ঢাকার ১১ নম্বর রোডে কর্মরত। তাদেরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। সরিষাবাড়ী থানার ওসি মহব্বত কবির জানান, এ ঘটনায় চারজনকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
প্রসঙ্গত, এর আগেও এমন একটি ঘটনা ঘটেছিল যে ঘটনায় ওই তরুণ-তরুণী একে অপরকে ভালোবেসে ঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়। তবে তারা এই দুই ধরনের মতো বিবাহ না করে একসাথে থাকতে শুরু করে। একপর্যায়ে তাদের শনাক্ত করে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ তাদের মুচলেকা নিয়ে একে অপরের বাড়িতে শর্তসাপেক্ষে পাঠিয়ে দেয়। তবে এই দুই তরুণী তাদের থেকে একটু আলাদা তারা সরাসরি বিয়ে করেই ফিরে এসেছিলেন বাড়িতে।