বাংলাদেশের বর্তমান সময়ের রাজনীতির মাঠে সব থেকে আলোচিত দুইটি নাম বিএনপি-জামায়েত।নতুন করে তারা আবারো রাজনীতির মাঠে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।যার রূপরেখা দেখা যাচ্ছে ইতিমধ্যে। এ দিকে এবার বিএনপি জামায়েত নিয়ে নতুন একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন। পাঠকদের উদ্দেশ্যে তার সেই
জামাত-বিএনপি’র ভবিষ্যৎ এজেন্ডা কি, তারা কোন ইস্যু নিয়ে মাঠে নামবে এটা বুঝার জন্য আমি সব সময় চারটা মিডিয়ার সংবাদ নিয়ে রিসার্চ করি।কারণ তাদের হাবভাব ভালো করে গবেষণা করলেই সরকার বিরোধীদের গতিবিধি অনুমান করা যায়।
কাল দুপুরের দিকেই, এই চারটি মিডিয়ার একটিতে দেখলাম গাইবান্ধার সাঘাটা-ফুলছড়ি উপ-নির্বাচন স্থগিত।তখনো কিন্তু ভোট চলছে। অন্য সংবাদ মাধ্যমগুলিতে দেখলাম কিছু কেন্দ্রের ভোট স্থগিত হয়েছে মাত্র। ঐ মিডিয়ার অগ্রিম নিউজ দেখে তখনই আশংকা করেছিলাম এই ভোট যেকোন সময় বন্ধ হয়ে যাবে।
যাই হোক অবশেষে নির্বাচন কমিশন ভোট স্থগিত করেই দিয়েছে। কিন্তু কিসের ভিত্তিতে করলো? নিউজ খুঁজে কোথাও ভোট ডাকাতি, জালিয়াতি, জাল ভোট, গোলাগুলি, মারামারি, কেন্দ্র দখলের কোনো সংবাদ দেখলাম না। সিসি ক্যামেরা দেখে ঢাকায় বসে নির্বাচন কমিশনের কর্তারা ভোটে নাকি ব্যাপক বিশৃঙ্খলা খুঁজে পেয়েছেন। বিশৃঙ্খলা শব্দটাও একটা অস্পষ্ট শব্দ।বর্জনকারীরা বলছে ব্যাপক অনিয়ম, কিন্তু সুনির্দিষ্ট করে কোনো অনিয়মের কথা তারা বলতে পারেনি।
বিভিন্ন মিডিয়ায় নির্বাচন কমিশনের সরবরাহ করা সিসি ক্যামেরার ফুটেজে কি দেখলাম ? ভোট কেন্দ্রে লোকজন, বিশেষ করে মহিলারা বিশৃঙ্খলভাবে ঘোরাঘুরি করছেন। কিছু ক্ষেত্রে দুইজন বুথে ঢুকেছেন। ইভিএম যেহেতু সবার কাছেই নতুন সেক্ষেত্রে নির্বাচনী কর্মকর্তারা কাউকে সহায়তা করতেই পারেন। ইভিএমে যেহেতু ভোট সিল মারার সুযোগ নাই, তাই এতে দোষের কিছু নেই।
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা যদি মনে করেন গ্রামের তৃণমূল মানুষেরাও তাদের মত শিক্ষিত, সুশৃঙ্খল ভাবে লাইন ধরে চলে তাহলে কিছু বলার নেই। মানুষের এলোমেলো চলা ফেরা সিসি ক্যামেরায় দেখেই তারা বুঝে গেলেন নির্বাচনে জালিয়াতি হয়েছে। সিসি ক্যামেরার জয় হোক। কোন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নিজেদের কর্মকান্ড জায়েজ করার জন্য মিডিয়াতে ফুটেজ সরবরাহ করার টেকনিকটাও অবৈধ।এটাকে নির্বাচন কমিশনের সরকার বিরোধী একটি মিডিয়া ট্রায়ালও বলা যায়।
মুলকথা হচ্ছে, নির্বাচন বন্ধ করার আগে ওনারা শুধুই সিসি ক্যামেরা দেখেছেন।তাদের নিয়োগ করা রিটার্নিং অফিসারের সাথে কোন আলোচনা করেননি। তাদের সাথে আলোচনা ছাড়াই নির্বাচন স্থগিত করে কমিশন আইন বহির্ভূত কাজ করেছেন, উচিত আইনী ব্যবস্থা নেয়া।
সংযুক্তিঃ রিটার্নিং অফিসারদের রিপোর্ট…
প্রসঙ্গত, এ দিকে গেলো কয়েক মাস আগে শোনা গিয়েছিলো আরেক খবর।জামায়েত ছেড়ে দিয়েছে বিএনপিকে। এ নিয়ে একটা সময়ে আলোচনা হলেও অনেকেই বলছেন ভিন্ন কথা।বলছেন এটা হয়তো দুই দলের কোনো একটি চাল হতে পারে। তবে বিএনপি গেলো বেশ কিছু ম্যাশ ধরে রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে ইটা এখন পরিষ্কার।