শশুর নিজের বাবা না হলেও তাকে নিজ বাবার মতোই সম্মান করা উচিত। শশুরকে ভিন্ন চোখে দেখলে সেখানে সৃষ্টি হতে পারে অনেক সমস্যার। সে যেমন স্ত্রীর বাবা তেমনি স্বামীরও বাবা এবং শশুরের প্রতি জামাইয়ের থাকে অনেক দায়িত্ব ও কর্তব্য। সেই জামাই যদি শশুরকে করে অপহরণ তাহলে বিষয়টি খুবই গর্হিত হিসেবে বিবেচিত হয়। সম্প্রতি বউ অভিমাণ করে বাপের বাড়ি থেকে শশুর বাড়িতে না যাওয়াতে জামাই শশুরকে করলো অপহরণ।
অভিমানী বউ বাড়ি না ফেরায় ক্ষোভে শ্বশুরকে অপহরণ করে জামাই। পরে পুলিশ আহত শ্বশুরকে উদ্ধার করে জামাইকে আটক করে।
সোমবার রাতে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বড় আলমপুর ইউনিয়নের আকুবের পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
পীরগঞ্জ থানার এসআই অনন্ত সরকার জানান, ছোট রসুলপুরের জয়নাল আবেদীনের মেয়ে তাসনিম বেগমের বিয়ে হয় চার মাস আগে আকুবের পাড়া গ্রামের সোবহান আলীর ছেলে রকিবুল ইসলামের সঙ্গে। বিয়ের পর থেকেই তাদের দাম্পত্য কলহ চলছিল। বিয়ের দেড় মাস পর তাসনীম রাগ করে বাবার বাড়িতে চলে যায়।
রাকিবুল বারবার তাসনিমকে বাসায় আসতে বলে। তবে শাশুড়ি তাকে নিতে না যাওয়া পর্যন্ত বাবার বাড়ি ছাড়বেন না বলে জানান তাসনিম। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রাকিবুল তার স্ত্রী তাসনিম, তার বাবা জয়নাল আবেদীন ও ভাই মশিউর রহমানকে হুমকি দেয়। একপর্যায়ে সোমবার রাতে রকিবুল তার শ্বশুর জয়নাল আবেদীনকে গামছা দিয়ে অপহরণ করে।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী তাৎক্ষণিকভাবে 999 নম্বরে কল করলে পুলিশ অপহৃত জয়নালকে নির্জন স্থান থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। এ ঘটনায় জয়নালের ছেলে মশিউর বাদী হয়ে রাকিবুলের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
উল্লেখ্য, শশুর মানেই সম্মানের পাত্র। যে জামাই শশুরকে অপহরণ করতে পারে সেই জামাই কতটা নীচ মনের হতে পারে সেইটা বলার অপেক্ষা রাখেন। বউ যতই অপরাধ করুক না কেনো তাই বলে শশুরকে অপহরণ করতে হবে এইটা সত্যিই শাস্তিমূলক একটি কাজ। বউয়ের অভিমানের সাজা তার বাবাকে দেওয়া কোনো সমঝোতা না।