Friday , September 20 2024
Breaking News
Home / Countrywide / জামাইয়ের হাতে প্রয়াত হলেন একই পরিবারের তিন সদস্য, বাদ জায়নি স্ত্রীও, জানা গেল কারণ

জামাইয়ের হাতে প্রয়াত হলেন একই পরিবারের তিন সদস্য, বাদ জায়নি স্ত্রীও, জানা গেল কারণ

শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলায় ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা সম্প্রতি বেশ চাঞ্চলের সৃষ্টি করে যোগাযোগ মাধ্যমে। ঘটনা সূত্রে জানা যায়, নিজ বাড়িতে স্ত্রী ও শাশুড়িসহ তিনজনকে ছু/ রিকাঘাতে হ/ ত্যার ঘটনায় মিন্টু মিয়াকে (৪৩) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৪ জুন) সকালে উপজেলার কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের পুতল গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মিন্টু মিয়া পাশের গেরামারা গ্রামের হাই উদ্দিনের ছেলে। এর আগে রাত সাড়ে ৮টায় উপজেলার কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের খোশালপুর পুতল গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ সময় তিনজন প্রয়াত হন।

নিহতরা হলেন- মন্টুর শাশুড়ি শেফালী বেগম (৬০), স্ত্রী মনিরা বেগম (৪০) ও চাচা মাহমুদ গাজী (৬৫)। শ্রীবরদী থানার ওসি (তদন্ত) আবু সাইম জানান, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি ও ছোরাসহ মিন্টুকে আটক করা হয়েছে।

নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানায়, প্রায় ১৮ বছর আগে মনিরার সঙ্গে মিন্টু মিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় মনু মিয়ার শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে দেড় লাখ টাকা যৌতুক দেয়। এক সময় আরও যৌতুক দাবি করে। না দেওয়ায় প্রায়ই মনিরাকে মারধর করত মিন্টু। সমস্যা সমাধানের জন্য কয়েকবার গ্রামীণ সালিশ বৈঠক হয়েছে। একপর্যায়ে নির্যাতন সইতে না পেরে কয়েকদিন আগে মনিরা তার বাবার বাড়িতে ফিরে আসে।

এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে বোরকা পরে শ্বশুর বাড়িতে ঢুকে মনিরাকে কুপিয়ে হত্যা করে। শাশুড়ি শেফালী বেগম, শ্বশুর মনু মিয়া, চাচা মাহমুদ গাজী, শ্যালক শাহাদাত হোসেন ও খালা ছালেহা বেগমকে কুপিয়ে আহত করে। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে পাশের বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শেফালী ও মাহমুদকে মৃত ঘোষণা করেন।

আহত মনু মিয়া, শাহাদাত হোসেন ও সালেহা বেগমকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস জানান, ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, বিয়ের সময় অনেক কথা বার্তা হয় দুই পরিবারের মধ্যে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, ছেলের পরিবার মেয়ের পরিবাররের কাছে অর্থ দাবি করে বসে। যদিও সেটা আইনের চোখে অপরাধ। বেশির ভাগ সময়েই দেখা যায় মেয়ের পরিবার এটা অন্যায় জেনেও মেয়ের শুখের কথা চিন্তা করে টাকা দিতে রাজি হয়ে যায়। তবে পন দেওয়ার কথা বলে যখন তা দিতে না পারে তখনি বেধে যায় কলহ। এমন ঘটনা বাংলাদেশের মানুষের কাছে দৃষ্টান্ত।

About Nasimul Islam

Check Also

আ.লীগ ও তৃণমূল থেকে বিএনপিতে যোগদানের হিড়িক

নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিএনপিতে যোগদানের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *